মাছ পরিষ্কারে - কিছু মাছ থাকে বেশ পিচ্ছিল। যেমন বোয়াল, পাঙ্গাশ, বাইম মাছ ইত্যাদি। পিচ্ছিল বলে এগুলো কাটতে এবং পরিষ্কার করতে বেশ কষ্ট হয়। মাছে সামান্য পানি দিয়ে বেশ কিছু লবণ ছিটিয়ে দিন। এরপর নাড়াচাড়া করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেললেই মাছের পিচ্ছিল ভাব অনেকটাই কমে যাবে এবং কাটতে সুবিধা হবে।
দাঁত ও গলা ব্যথায় - দাঁত ও গলা ব্যথায় লবণ-পানির চিকিত্সা সর্বজনবিদিত। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে, রক্তপাত হলে উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশেয়ে কুলি করুন। দিনে অন্তত তিনবার করুন। খুব দ্রুত আরাম পাবেন।
গলাব্যথাতেও গরম পানি ও লবণের ব্যবহার আরামদায়ক। তবে এখানে কুলির পরিবর্তে গার্গল করতে হবে।
দাঁত সাদা করতে - বিভিন্ন কারণে দাঁতে হলদেটে দাগ পড়ে যেতে পারে। দাঁতের হলদেটে ভাব দূর দাঁতকে সাদা করে তুলতে লবণ সাহায্য করবে। লবণ ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে সেটা দিয়ে দাঁত মাজুন নিয়মিত। হলদে ভাব দূর হয়ে দাঁত হবে ঝকঝকে সাদা।
বোতল পরিষ্কারে - প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই প্লাস্টিকের বোতলে পানি সংরক্ষণ করা হয়। কাচের বোতলের মতো প্লাস্টিকের বোতল গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করা যায় না। বোতলে দুই-তিন টেবিল চামচ পরিমাণে পানি নিন। এরপর এতে এক টেবিল চামচ লবণ দিয়ে জোরে জোরে ঝাঁকাতে থাকুন। পাঁচ-ছয় মিনিট ঝাঁকানোর পর বোতল পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পা ব্যথায় - অতিরিক্ত হাঁটলে বা ক্লান্তির কারণে পায়ের পাতা ব্যথা করতে পারে। একটি গামলায় সহ্য করতে পারবেন এমন গরম পানি নিন। এতে সামান্য লবণ মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন দশ মিনিট। ব্যথা কমে যাবে অনেকটুকু।
পোকামাকড়ের কামড়ে - বোলতা বা মৌমাছির কাপড়েও লবণ উপকারী। আক্রান্ত জায়গায় লবণ ঘষে দিন বা লবণ-পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা দ্রুত কমে যাবে। হাতে মাছের কাঁটা বিঁধলেও একই কাজ করতে পারেন।
ফলের টক কমাতে - বিভিন্ন টক ফলের আমরা আচার তৈরি করে থাকি। যেমন আম, জলপাই, করমচা, আমলকী ইত্যাদি। এসব ফলের টক কমাতেও লবণ ব্যবহার করা যায়। লবণ মেশানো পানিতে সেদ্ধ করে নিলেই ফলের টক অনেকাংশে কমে যায়।
দুর্গন্ধ দূর করতে - মাছ বা পেঁয়াজ-রসুন কাটার পর হাতে বিশ্রী গন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় সাবান দিয়ে ধুলেও সে গন্ধ যায় না। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে লবণ। হাত ভিজিয়ে পুরো হাতে লবণ মেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর হাত ধুয়ে ফেলুন।