গোড়ালি ফাটার ফলে শুধু যে সৌন্দর্য নষ্ট হয় তা নয় পাশাপাশি পায়ে ব্যথাও হতে পারে। তাই শুরুতেই যত্ন নেওয়া উচিত।
সাধারণত পায়ের ত্বকে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। তাই রাতে ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তবেই ঘুমানো উচিত।
আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডয়ের কর্ণধার ও রূপবিশেষজ্ঞ জুলিয়া আজাদ পা ফাটার কিছু কারণ উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, বেশি হাঁটাহাঁটি করলে, দীর্ঘসময় ধুলা ও ময়লার মধ্যে কাজ করলে, আবহাওয়ার পরিবর্তনে, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের অভাবে পা ফাটা সমস্যা হতে পারে।
তাছাড়া শরীরের বাড়তি ওজনের সব ভার পায়ের ওপরেই পড়ে। এক্ষেত্রেও গোড়ালি ফেটে যেতে পারে।
এই প্রতিবেদনে ঘরোয়াভাবে কিছু সাধারণ উপায়ে পা ফাটা সমস্যার সমাধানের উপায় উল্লেখ করা হল।
– রাতে ঘুমানোর আগে ভালোভাবে পা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর পা মুছে ভালোভাবে কোনো তেল মালিশ করে নিতে হবে। বিশেষভাবে পায়ের ফাটা অংশে। এরপর একটি মোটা মোজা পরে ঘুমাতে হবে। এতে সারা রাত ত্বক তেল শুষে নেবে এবং ত্বক নরম থাকবে।
– একটি পাকাকলা ভালোভাবে চটকে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এবার পেস্ট করা পাকাকলা পায়ের ফাটা অংশে মাখিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
– গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পা ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর একটি লোফা নিয়ে হালকাভাবে পা ঘষে নিতে হবে। এতে পায়ের মৃত কোষগুলো উঠে যাবে।
– পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে ১ চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পায়ের ফাটা অংশে মালিশ করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ত্বক পুরোপুরি মিশ্রণটি শুষে নিচ্ছে। এরপর মোটা মোজা পরে সারা রাত রাখতে হবে।
– গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল মিশিয়ে পায়ে মালিশ করলেও পা ফাটা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
শুধু শীতের আবহাওয়ার জন্য নয়, শরীরে ভিটামিন, মিনারেল, জিঙ্ক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি পুষ্টির অভাবের কারণেও পা ফাটতে পারে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন নিয়মিত খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ উপাদান, ভিটামিন ই থাকে।
তাই ভেজিটেবল অয়েল, সবুজ শাকসবজি, অপরিশোধিত আটার রুটি এবং সিরিয়াল, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার- দুধ, পনির, দই, মাংস, মাছ ইত্যাদি খাবার খেতে হবে। তাহলে শুধু পা নয়, শরীরের ত্বক এবং চুল পুষ্টি পাবে।
তাছাড়া নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পায়ের মৃত কোষ দূর করতে স্ক্রাবিং এবং এক্সফলিয়েট করতে হবে। পা পরিষ্কারের পর অবশ্যই ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজ করতে হবে। তাছাড়া পা খোলা রাখা বা খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলতে হবে। সপ্তাহে একদিন অন্তত গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে।