অফিসে যাবার সময় হয়ে এলো, অথচ শাড়ির সাথে ম্যাচিং অনুসঙ্গ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক চেষ্টার পর যখন পাওয়া গেল, তখন আবার সদ্য কেনা দুলটাও যেন নিখোঁজ। ওদিকে হয়তো আপনার কর্তাও তার পছন্দের শার্ট খুঁজে না পেয়ে বিরক্ত। এমনটি হলে আপনার দিনের শুরুটাই হয়ে যাবে অস্বস্তির। এমনই যদি হয় আপনার প্রতিদিনকার অগোছালো শুরু। তাহলে আপনার প্রয়োজন ওয়ারড্রোব গোছানোর চৌকস পরিকল্পনা।
কীভাবে কী করবেন
আমরা অনেক সময়ই হুট করে একগাদা পোশাক কিনে ফেলি। আমাদের এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে ঘরের কোণে কাপড়ের পাহাড় জমতে বেশিদিন লাগবে না। নতুন পোশাক কেনার আগে ওয়ার্ড্রোব খুলে একটু জায়গা দেখে নিলে ভাল হয়। তাছাড়া প্রতিরাতে অফিসে কী পড়ে যাবেন সেটা ঠিক করে রাখলে আপনার সকালে উঠে খুঁজতে হবে না। পোশাকের ধরণ অনুযায়ী সবকিছু আলাদা সেলফে রাখুন। মানে আপনার শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, টপস একসাথে না রাখাই ভাল। এতে করে খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। যে জামাগুলো আপনি নিয়মিত পরেন না সেগুলো আপনি আলাদাভাবে রাখতে পারেন। আর নিয়মিত পড়ার জামাগুলো আলাদা সেলফে।
সেলফ মোটিভেশন
আমদের অনেকেরই ওয়ারড্রোব গুছিয়ে রাখতে অনীহা আছে। কিন্তু আমরা প্রতিদিনই যদি নিজেদের কাপড় বাইরে থেকে এসে একই জায়গায় রাখি তবে সকাল সকাল আমাদের কাপড় নিয়ে দুনিয়া তোলপাড় করতে হবে না। জামা কাপড় শুধু গুছিয়ে রাখলেই চলবে না, মাঝে মাঝে বের করে রোদেও দিতে হবে। নাহলে কাপড়ে ভ্যাপসা গন্ধ হয়ে যাবে। ওয়ারড্রোব নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
কিছু টিপস
* মাসে অন্তত একবার ওয়ারড্রোব গোছান। কাপড়ের সেলফ পাল্টাতে পারেন। এতে করে আপনার দৈনন্দিনতায় নতুনত্ব আসবে।
* ওয়ারড্রোবে ন্যাপথলিন, শুকনোলঙ্কা অথবা নিমপাতা রাখুন, পোকা হবে না।
* শাড়ি, ম্যাচিং ব্লাউজ বা জামা ভাঁজ না করে হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখুন। সহজে খুঁজে পাবেন।
* সেলফে খবরের কাগজ বা প্লাস্টিক পাতবেন না। পোকা হতে পারে।