স্টার আপেল সফেদা পরিবারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রীস্ম মন্ডলীয় ফল। স্টার আপেল এর বীজ ও খোসা বাদে ভিতরের মাংসল অংশ (৫০%-৬০%) খাওয়া যায় আর এর রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ । এর ভিতরের নরম সাদা অংশ অনেকটা কচি ডাবের শ্বাঁসের মত তবে তুলনামূলকভাবে বেশী মিষ্টি। এর খোসা ও বীজ কিছুটা তিক্ত স্বাদের কারনে তা খাওয়া যায় না। পাকা ফলের মাঝ বরাবর ছুরি দিয়ে কেটে চামচ দিয়ে ভিতরের অংশ তুলে খেতে এটা খুবই সুস্বাদু। এর নরম শাঁস থেকে বীজ আলাদা করে ডেজার্ট হিসাবে ও সালাদের সাথে খাওয়া যায়।
জামাইকাতে এটাকে বিবাহ উৎসবে খাওয়া হয় ।অনকসময় স্ট্রবেরী ও ক্রীম সহযোগেও স্টার আপেল খাওয়া হয়। এর তিক্ত স্বাদের দুধসাদা কষ এবং বীজের শাঁস অনেক সময় ড্রিংক ও কনফেকশ্নারীতে ব্যবহৃত হয়। স্টার আপেল এর পাকা ফল খেলে ফুষফুসের প্রদাহ ও নিউমোনিয়া রোগের উপশম হয়। এর ফল ডায়াবেটিস রোগে ব্যবহৃত হয়। ভেনিজুয়েলাতে পাকস্থলী ও অন্ত্রের গোলযোগে কম পাকা ফল খাওয়া হয়। তবে এরূপ কাচা ফল বেশী খেলে কেষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। পানিতে ফুটানো ফলের খোসা, বাকল ও পাতার ক্কাথ গার্গল করলে এনজিনা উপশম হয় ও এটা পেক্টোরাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
এর ট্যানিন সমৃদ্ধ বাকল উত্তেজক হিসাবে, ডায়রিয়া প্রতিরোধে, আমাশয়ে, রক্তপাত বন্ধে এবং গনোরিয়া রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। কিউবাতে এটা ক্যানসার প্রতিরোধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। স্টার আপেল এর তিক্ত ঝলসানো এবং চুর্ণকৃত বীজ টনিক হিসাবে, মুত্রবর্ধক এবং ফেব্রিফিউজ হিসাবে সমাদৃত। ব্রাজিল ও ল্যাটিন আমেরিকায় ট্যানিন সমৃদ্ধ লেটেক্স বা কষ শুকিয়ে গুড়া করে টনিক, কার্সিনোজেনিক এবং ভার্মিফিউজ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।