প্রতিদিন আমরা যা কিছু কিনে খাই, সব কিছুই যে ভেজালমুক্ত কিনা সেটা আমাদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে খুঁজে বের করা হয়েছে আমাদের দৈনন্দিন ভক্ষনের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ফলের উপর স্টিকারগুলোর মানে। যাতে সবাই অন্তত স্টিকার মারা ফল এর উৎস বা উৎপাদন সম্পর্কে তথ্য পায়। সুপারমার্কেট বা কোনও ফলপট্টি থেকে আপেল, আঙ্গুর, নাশপাতি বা অন্য যে কোনও ফল কেনার সময় নিশ্চয় খেয়াল করেছেন ফলের গায়ে স্টিকার লাগানো থাকে। কোন কিছু না ভেবেই, খুব ভালো বলে ধরে নিয়ে অনেক সময় বেশি দাম দিয়েও কিনে ফেলেন। ফলের গায়ে মারা স্টিকারে কী লেখা থাকে, ভালো করে দেখেছেন কখনও? বা যদি দেখেও থাকেন, তাহলে এর মানেটা কি বুঝতে পেরেছেন?
সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে কিছু তথ্য বের হয়ে এসেছে। তাহলে স্টিকারের মানেগুলো এখান থেকে বুঝে নিনঃ
১. স্টিকারে যদি দেখেন ৪ সংখ্যার কোড নম্বর রয়েছে এবং সেটা শুরু হচ্ছে ৩ বা ৪ দিয়ে, এর মানে হল, কোনও ফার্মে ওই প্রোডাক্টির চাষ হচ্ছে বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে। যার অর্থ, কৃত্রিম সারে ব্যবহারের মাধ্যমেই চাষ হয়েছে।
২. যদি কোনও ফলের গায়ে ৫ সংখ্যার কোড দেওয়া স্টিকার দেখেন, যার শুরুটা ৯ দিয়ে, অর্থ, চিরাচরিত প্রথাতেই চাষ হচ্ছে। হাজার হাজার বছর আগেও যে ভাবে চাষ হত, সে ভাবেই। মানে, কোন রকম রাসায়নিক সার বা কীটনাশক দেওয়া হয় না। সম্পূর্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে, জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে চাষ হয়।
৩. স্টিকারে যদি ৫ ডিজিট কোড থাকে এবং শুরুটা ৮ সংখ্যা দিয়ে হয়, তার মানে ওই ফলটি GMO বা জেনেটিক্যালি মডিফায়েড। সোজা বাংলায় এটা হাইব্রিড ফল। তবে রাসায়নিক সার দিয়েই সচরাচর এই হাইব্রিড ফলগুলোর চাষ হয়।
এটা পড়ে নিশ্চিত স্টিকার ভালো করে না-দেখে আর ফল কিনবেন না। তবে একটা কথা। অনেকেই মনে করেন এত দেখা দেখি করে ফল কেনা সম্ভব নয়। অনেকে মনে মনে এটা মেনেই নিয়েছেন, আল্লাহর নাম নিয়ে যা খাচ্ছি তাতেই শুকরিয়া। তবে সেক্ষেত্রে আপনাদের জন্য সুন্দর একটি পরামর্শ প্রদান করবে। সেটা হলো যখন ফল কিনে খাবেনই, সেক্ষেত্রে ফলটা বাসায় নিয়ে বালতির ভেতরে কমপক্ষে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তাহলে অন্তত উপরে ব্যবহৃত কোন রাসায়নিক থাকলে সেটা পানির সাথে মিশে তলানিতে জমা হবে। নিরাপদে ফল খেতে পারবেন।