সুখী হতে কে না চায়। কখনও কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন, আপনার অসুখী থাকার কারণ আপনি নিজে নন তো? আসলে উত্তরটা হ্যাঁ হলেও আমরা অনেক সময় বুঝেও না বোঝার ভান করি৷ অথচ নিজেকে একটু বদলে নিতে পারলেই ফিরে আসবে জীবনের সঠিক ছন্দ৷ তার জন্য সামান্য, হয়তো খুব সামান্য কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রেখে এগোতে হবে৷
শরীরবিজ্ঞানের গবেষণায় প্রমাণিত,যখন আমরা কোনো ব্যাপারে অতিরিক্ত স্ট্রেসড থাকি মানসিকভাবে,তখন আমাদের শরীরে মাত্র ৯০ সেকেন্ড তার প্রভাব থাকে। তারপরেই তা চলে যায়। এর অর্থ আবেগের জন্যই আমাদের শরীর স্ট্রেসের ফলে রি-অ্যাক্ট করে৷ আমাদের ভাবনাচিন্তাতে নেগেটিভ আবেগকে আমরা বার বার ফিরে আসতে বাধ্য করি বলেই আমরা বেশি করে স্ট্রেসড হই৷ তাই ক্রমশ খানিকক্ষণের ভাবনাচিন্তায় বিরতি দিয়ে দিয়ে নেগেটিভ চিন্তা করলে স্ট্রেস লেভেল আস্তে আস্তে কমবে৷ আসলে দুঃখবিলাসীরা একেবারে চিন্তা মন থেকে ঝেরে ফেলতে পারবেন না কখনও৷
আমাদের অনেকেরই একটা স্বভাব রয়েছে,ঝামেলায় পড়লেই আমরা জনে জনে নিকট-পরিচিতদের সঙ্গে বারে বারে একই আলোচনা করি, কী করে সমাধান হবে৷ কিন্তু এত বেশি আলোচনার তো প্রয়োজন পড়ে না৷ যত বেশি আপনি এসব ভাবনাচিন্তা করবেন আপনার দুশ্চিন্তা, স্ট্রেস, অবসাদ, দুঃখ ততই বাড়বে৷ বেশি লোককে সমস্যা বললে তো সমাধানটা সেকেন্ডের মধ্যে হয়ে যাবে না, এটা আপনাকে বুঝতে হবে৷
কোনো পুরনো গেট টুগেদার বা নিদেনপক্ষে বাড়িতে কোনও আত্মীয় এসেছে৷ অথচ তাদের সঙ্গে সেই সময় কাটানোর স্মৃতিটা হয়তো ভালো না৷ কিন্তু আমরা কিছুতেই তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারি না৷ অথচ এটা তখনকার ব্যাপার৷ আর আমরা রয়েছি এখন, এই মুহূর্তে৷ অথচ কোনো অনুষ্ঠান বা গ্যাদারিং উপলক্ষেই আমাদের পুরনো স্মৃতি ফিরে আসে৷ তখনটা বাদ দিন৷ এখন আপনার পাশে যারা রয়েছে তাদের ভালো-মন্দ নিয়েই আপনাকে বাঁচতে হবে৷ এই সহজ-সরল সত্যটা মেনে নিন৷