ভূমিকম্পের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা। ভূমিকম্পের ফলে যে ‘সিসমিক তরঙ্গ’ তৈরি হয় সেই তরঙ্গকেই শব্দ ও চিত্রে রূপান্তরিত করা হবে। তাই এবার থেকে ভূমিকম্প শোনাও যাবে, আর দেখাও। আর এই সিসমিক তরঙ্গ শুধু ভূমিকম্প নয়, জানান দেবে পৃথিবীর আরও অনেক তথ্য। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা নতুন ওই প্রজেক্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও এই বিশেষজ্ঞ দলের একজন বলেছেন, ‘সিসমিক তরঙ্গ’ থেকে এর আগেও শব্দ তৈরি হয়েছে। ‘সিসমো ডোম’ প্রজেক্টের মাধ্যমে যে শব্দ তরঙ্গ তৈরি হয়েছিল তাকেই এই বিশেষজ্ঞ দল কম্পিউটার কোডের মাধ্যমে লিখিত রূপ দিচ্ছেন। ওই শব্দ তরঙ্গের লিখিত রূপ দেন এক পদার্থবিদ, তারই দেখানো পথ অনুসরণ করেই এই যুগান্তকারী আবিষ্কার করলেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিশেষজ্ঞদল।
এই আবিষ্কারের ফলে ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’-এর ক্ষয়ক্ষতি বেশ খানিকটা এড়ানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও স্থান এবং সময় সাপেক্ষে ভূমিকম্পের তীব্রতার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ‘টেকটনিক প্লেট’-র অবস্থান বুঝতেও সাহায্য করবে এই নতুন প্রজেক্ট।
বিজ্ঞানীদের মতে এই আবিষ্কার পৃথিবীর ভূ-তাত্ত্বিক পরিবর্তনগুলিকেও সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে। ফলে বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে সহজেই।