প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তি। পুরনো প্রযুক্তিতে পেছনে ফেলে আসছে নতুন উদ্ভাবন। ফলে পুরনো প্রযুক্তির ঠাঁই মিলছে না। জায়গা করে নিচ্ছে নিত্য নতুন আবিষ্কার। কিন্তু আপনি যদি একটু পরিবেশ সচেতন হন, আর আপনার যদি থাকে উদ্ভাবনী ক্ষমতা তবে পুরনো যন্ত্রকেও নতুন ভাবে কাজে লাগাতে পারেন। এই যেমন বাতিল হিসেবে গণ্য হওয়া পুরনো ফোনটিকেই বানিয়ে নিতে পারেন সিকিউরিটি ক্যামেরা। যা দিয়ে আপনি আপনার বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে একটি পুরাতন ফোনকে সিকিউরিটি ক্যামেরা বানানো যায়।
যা যা লাগবে
১. একটি পুরাতন স্মার্ট ফোন
২. ইন্টারনেট সংযোগ
৩. গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপস নামানোর স্টোরেজ
৪. সকেট
যেভাবে বানাবেন
প্রথমে পুরাতন স্মার্টফোনটিতে ইন্টারনেট সংযোগ দিন। বাসায় ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক থাকলে কাজটি আরও সহজ হয়ে যাবে। এবার প্লে স্টোর থেকে সিকিউরিটি ক্যামেরার অ্যাপ নামিয়ে নিতে হবে। আইফোনের ক্ষেত্রে ‘মেনিথিং’ অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। এই অ্যাপ গুলো প্লে স্টোর থেকে ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে।
অ্যানড্রয়েড ফোনের জন্য আইপি ওয়েবক্যাম অ্যাপসটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এই অ্যাপসটির লাইট ভার্সনটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। তবে প্রো ভার্সন ব্যবহার করলে অ্যাপটির সবগুলো অপশন ব্যবহার করা যাবে। এর প্রো ভার্সনের মূল্য ৩.৯৯ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৩১১ টাকা। এবার অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে। অ্যাপটিতে ব্যবহারকারী তার পছন্দমত ভিডিও এফেক্ট, পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সেটিংসহ অন্যান্য ফিচারগুলো নিজ পছন্দ মত সেট করতে পারবেন।
আইফোনের ক্ষেত্রে মেনিথিং ইনস্টল করার পর যে ফোনে লাইভ স্ট্রিমিং দেখা হবে সেই ফোনেও মেনিথিং ইনস্টল করতে হবে। পুরোনো ফোনের ক্ষেত্রে সেটিংস এ গিয়ে স্ক্রিন অটো লক বন্ধ করে দিতে হবে। ইমেইল অথবা ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে অ্যাপটি রেজিস্টার করতে হবে। পুরানো আইফোনের ক্ষেত্রে ক্যামেরা মোড এবং নতুনটির ক্ষেত্রে ভিউয়ার মোড সিলেক্ট করতে হবে। সরাসরি সম্প্রচারের জন্য ক্যামেরা মোডে রেড বাটন প্রেস করতে হবে। নতুন ফোনটিতে ভিডিও রেকর্ডগুলো লিস্ট আকারে চলে আসবে, অন্যথায় ব্যবহারকারী মেনিথিং ডটকম এ লগ ইন করে ভিডিওগুলো দেখতে পারবেন।
এবার আপনার বাসার যে জায়গাটা বা কক্ষটি আপনি তদারক করতে চান সেখানে পুরনো ফোনটি সেট করুন। স্মার্টফোনটিকে বাসার যে জায়গা থেকে পুরো কক্ষ দেখা যাবে সেই অ্যাঙ্গেলে সেট করতে হবে। ফোনটিকে সেট করার জন্য স্মার্টফোন ট্রাইপড ব্যবহার করা যেতে পারে। আর কাছাকাছি দেখতে স্মার্টফোনের সাথে ওয়াইড লেন্স ব্যবহার করা যেতে পারে। আর নিরবিচ্ছিন্ন স্ট্রিমিংয়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ আছে এমন কোন সকেটের সাথে মোবাইলটিকে সংযুক্ত করতে হবে।
ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য অ্যাপ ব্যবহারকারীকে আইভিডিওন ডটকম-এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং উপযুক্ত ক্লাউড স্ট্রিমিং পরীক্ষা করে নিতে হবে। অ্যাপটির শুরুতে থাকা স্টার্ট সার্ভারটি চিহ্নিত করে লাইভ ভিডিও চালু করা যাবে। সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে সেট করা ফোনের আইপি অ্যাড্রেস ও পোর্ট নম্বর অন্য কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্য যে কোনো ডিভাইসের ওয়েব ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে দিয়ে ভিডিও রেকর্ডগুলো দেখতে পারবেন ব্যবহারকারী।
আই ভিডিওন এর ওয়েব সাইট: www.ivideon.com
একাধিক পুরাতন স্মার্টফোন থাকলে বাসার একাধিক জায়গায় একই পদ্ধতিতে ফোনগুলো সেট করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেতে পারে।