বগলে অনেকেরই কালো দাগ থাকে, যা দেখতে খুবই বিচ্ছিরি দেখায়। বগলের নিচের কালো দাগ মানুষ দেখতে না পেলেও নিজের কাছে তা অস্বস্তি লাগে। বংশগত ও ওজন বাড়া কমাসহ নানা কারনে হতে পারে এই দাগ।
শরীরের অন্যান্য অংশের ন্যায় এই অংশটিরও যথার্থ পরিচর্যা নিলে দাগের সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নেয়া যাক কিছু ঘরোয়া উপায়, যার মাধ্যমে দূর হবে এই কালো দাগ।
কালো দাগ হওয়ার কারণ
১. শেভিং করার কারণে এই সমস্যা হতে পারে। আমরা অনেক সময় কিছু শেভিং ক্রিম ব্যবহার করি যা বগলের ত্বককে পুড়িয়ে কালচে দাগ করে ফেলে।
২. সবসময় লুকিয়ে রাখা এই ত্বকটির কোষ আলো বাতাসের অভাবে মরে গিয়ে এই কালো দাগ তৈরি হতে পারে।
৩. ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের ফলেও এই সমস্যা তৈরি হয়।
৪. ত্বকের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলেও কালোদাগ হতে পারে।
৫. বংশগত হরমোনের কারণেও হতে পারে এই সমস্যা।
৬. যাদের ডায়বেটিস রোগ আছে তাদের এই সমস্যাটি প্রকট আকারে হয়। কেননা শরীরের ইনসুলিন এই সমস্যাটি তৈরি করতে সহায়ক।
প্রতিকারের উপায় :
১. বগলে কালো দাগের মূল কারণ বিভিন্ন হেয়ার রিমুভার ক্রিম। এর পরিবর্তে আপনি যদি প্রাকৃতিক কিছু উপকরণ যেমন চিনি, লেবু দিয়ে ওয়াক্সিং করেন তাহলে এই দাগ দূর হয়ে যাবে।
২. বগলের নিচের ত্বকটিকে উজ্জ্বল করে তোলার আরেকটি প্রাকৃতিক উপায় হল লেবুর রস ঘষা। লেবুর রস কালো দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করবে।
৩. এই সমস্যাটি দূরীকরণে বাসায় তৈরি একটি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য লেবুর রস, হলুদের গুড়া, ময়দার গুড়া ইত্যাদি মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ব্যবহার করুন।
৪. আলু এবং শসা এই সমস্যায় উপকারে আসে। ১৫ মিনিট এই আলু বা শসা বগলের ত্বকে ব্যবহারে কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
৫. চন্দনের গুড়া বা গোলাপজল ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বককে কালচে ভাব থেকে দূরে রাখে।
৬. জাফরানের গুড়াও এই সমস্যাটির সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এরজন্য জাফরানের গুড়ার সাথে ২ টেবিলচামচ দুধ মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বগলের ত্বকে ব্যবহার করুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রাকৃতিকভাবে কালো দাগ দূর করে।