একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে অনিয়ন্ত্রিত হেঁচকির কারণে নার্ভ ড্যামেজ, রেসপিরেটারি প্রবলেম, পেটের সমস্যা প্রভৃতি নানা ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তবে সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে হেঁচকিকে একেবারে বাগে আনা সম্ভব। কী সেইসব নিয়ম? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
ঠান্ডা পানি: যখনই হেঁচকি উঠবে, যত শীঘ্র সম্ভব এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খাবেন। দেখবেন নিমেষে সমস্যা কমে যাবে।
গরম পানি আর মধু: এক চামচ মধু, এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রন খাওয়ার সময় কিছুক্ষণ জিভের তলায় রেখে তারপর গিলে ফেলুন। এমনটা করলে হেঁচকির সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
বরফ: এবার থেকে হেঁচকি উঠলেই এক টুকরো বরফ নিয়ে চুষতে থাকবেন। এমনটা করলে দেখবেন বেশ উপকার পাবেন।
গার্গেল: খেতে খেত হেঁচকি উঠছে? সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি নিয়ে গার্গেল করতে থাকুন। এই পদ্ধতিটি হেঁচকির প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে আসে।
চিনি: এই খাবারটি সেভাবে শরীরের কোনও কাজে না এলেও এই ধরনের সমস্যায় কিন্তু বেশ কাজে লাগে। কীভাবে এক্ষেত্রে চিনিকে কাজে লাগানো যেতে পারে? এক চামচ চিনি মুখে নিয়ে না চিবিয়ে কয়েক সেকেন্ড রেখে দিন। এমনটা করলে ভেগাস নার্ভ সক্রিয় হয়ে ওঠে, ফলে হেঁচকি বন্ধ হয়ে যায়।
বাদামের মাখন: এক চামচ বাদাম পেস্ট নিয়ে মুখে রেখে দিন কয়েক সেকেন্ড। তারপর গিলে ফেলুন। এতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। ফলে কমবে হেঁচকির প্রকোপ।
লেবু: এই ফলটি এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে। কেন জানেন? কারণ লেবুতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মুহূর্তে নার্ভকে স্টিমুলেট করে। ফলে নিমেষে হেঁচকি বন্ধে যায়। তাই তো এবার থেকে হেঁচকি উঠলেই একটা লেবু কেটে তার রস, এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন সেকেন্ডে সমস্যা কমে যাবে।
এলাচ: এটি পেশির প্রদাহ কমায়। তাই তো এই ধরনের সমস্যা কমাতে এলাচকে এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে এক চামচ এলাচ পাউডার নিয়ে এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে পানিটা ছেঁকে নিয়ে চায়ের মতো করে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন আরাম পাবেন।