০১. প্রথমে ভালো কোন ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর স্ক্রাব দিয়ে হালকা হাতে ঘষে নিতে হবে। তবে স্কিন যদি তৈলাক্ত হয় তবে স্ক্রাব না করাই ভালো এতে স্কিন আরও তৈলাক্ত হয়ে যাবে। যাদের স্কিনে ব্রণ আছে তারাও স্ক্রাব না করাই ভালো কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া আরও ছড়িয়ে পড়ে। সেনসিটিভ স্কিনে এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। অন্যান্য স্কিনে ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। মুখ পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিতে হবে। সব শেষে তুলাতে একটু টোনার লাগিয়ে মুখ মুছে নিতে হবে। তুলাটিকে প্রথমে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে চেপে পানি বের করে তারপর টোনার লাগাতে হবে। টোনার স্কিনের পি এইচ লেভেল কে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং স্কিনের অবশিষ্ট ময়লা পরিস্কার করে।
০২. মেক-আপ শুরু করার আগে স্কিনে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। তবে চোখের চারপাশ বাদ দিয়ে লাগাতে হবে। কারণ চোখের চারপাশ স্বাভাবিক ভাবেই তৈলাক্ত হয়। ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
০৩. ফাউনডেশন লাগানোর আগে ফাউনডেশন প্রাইমার লাগিয়ে নিতে হবে। ফাউনডেশন প্রাইমার লাগালে স্কিন আরও মসৃন হয় এবং মেক-আপ দীর্ঘ স্থায়ী হয়।
০৪. সবার স্কিনের রঙের সাথে মিলিয়ে ফাউনডেশন লাগাতে হবে। তবে এস পি এফ যুক্ত ফাউনডেশন না লাগানোই ভালো। কারণ আমরা সাধারণত পার্টিতেই প্রফেশনাল মেক-আপ করে থাকি। এস পি এফ যুক্ত ফাউনডেশন এ ফ্ল্যাশ দেয়া ছবি ভালো আসে না। তাই এস পি এফ ছাড়া ফাউনডেশন ব্যবহার করাই ভালো।
০৫. ফাউনডেশন লাগানোর পর ইলুমিনটর লাগিয়ে নিলে স্কিন অনেক ইয়ং দেখায়। ইলুমিনেটর পাউডার , ক্রিম , মুস বিভিন্ন ভাবে পাওয়া যায়। বাজারে লরিয়াল, রেভলন, নিউট্রিজেনা বিভিন্ন কোম্পানির ইলুমিনেটর পাওয়া যায়।
০৬. এরপর স্কিনে কোন দাগ থাকলে তার উপর কন্সিলার লাগিয়ে নিতে হবে। হালকা ভাবে কন্সিলার লাগানোর পর আঙ্গুল দিয়ে হালকা ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
০৭. তারপর পুরো মুখে ব্রাশ দিয়ে পাউডার লাগিয়ে নিতে হবে।
০৮ .এরপর আইব্রু এবং চিক বোন এ হাইলাইটার লাগিয়ে নিতে হবে।
০৯ . এরপর গালে ব্লাশন লাগিয়ে নিতে হবে। ব্লাশন চিক বোনের নিচ থেকে কানের পাশ পর্যন্ত লাগাতে হবে। যদি ভুল ক্রমে বেশি ব্লাশন লেগে যায় তাহলে পরিস্কার পাফ দিয়ে হালকা ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
১০. মুখের মেক-আপের পর চোখের মেক-আপ করতে হবে। প্রথমে চোখে আই শ্যাডো লাগিয়ে নিতে হবে।
১১. আই শ্যাডো লাগানোর পর চোখে আইলাইনার লাগিয়ে নিতে হবে।
১২. তারপর আইব্রু পেনসিল দিয়ে আইব্রুর শেইপ অনুযায়ী এঁকে নিতে হবে। ন্যাচরাল লুক দেবার জন্য পুরো আইব্রু না একে যেখানে প্রয়োজন সেটুকু এঁকে নেয়া যেতে পারে।
১৩.মাশকারা লাগানোর আগে আইল্যাশ কার্লার দিয়ে কার্ল করে নিতে হবে। গ্লামারাস লুক আনবার জন্য ফলস আইল্যাশ লাগানো জেতে পারে। মাশকারা সবসময় পাতার ভেতর থেকে বাইরের দিকে লাগাতে হবে। মাশকারা বেশি লেগে গেলে একটি টিস্যু পেপার দুই চোখের পাতার মাঝে রেখে চোখ বন্ধ করে আবার খুলতে হবে তাহলে অতিরিক্ত মাশকারা টিস্যু পেপারে লেগে যাবে।
১৪. লিপষ্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে একটু লিপ বাম লাগিয়ে নিতে হবে।
১৫. লিপষ্টিক লাগানোর আগে লাইনার দিয়ে ঠোঁট এর শেইপ করে এঁকে নিতে হবে।
১৬. লিপষ্টিক বা গ্লস সব সময় ব্রাশ দিয়ে লাগালে ভালো হয়। এতে লিপষ্টিক সমান ভাবে ঠোঁটে লাগবে কোথাও জমাট বাঁধবে না। প্রথমে লাগানোর পর টিস্যু পেপার দিয়ে একবার ব্লট করে আবার লিপষ্টিক লাগাতে হবে এতে করে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।
১৭. সবশেষে একটু ফেইস পাউডার অথবা সিমার পাউডার লাগিয়ে মেক-আপ শেষ করতে হবে।