আমাদের দেশে তরকারি,ভাজি, ভর্তা,হালিম,খিচুরি ইত্যাদি খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধি বৃদ্ধির প্রধান উপাদান ধনে পাতা। শাক-সবজি রান্না ধনেপাতা ছাড়া যেন হয়ই না। শুধু স্বাদ ও সুগন্ধি নয়,ধনেপাতার রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজগুণ। ধনের বীজ অর্থাৎ ধনে মসলারও রয়েছে প্রচুর ভেষজগুণ। ধনেপাত শীতকালীন সবজী হলেও এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। বিভিন্ন রোগ সারাতে এবং রোগ প্রতিরোধে ধনেপাতার গুরুত্ন অনেক। পেট ফাঁপলে অর্থাৎ পেটে গ্যাস হলে ধনেপাতার রস বায়ূ নাশক হিসেবে কাজ করে। প্রস্রাবের পরিমাণ কম হলে ধনেপাতা মূত্রবর্ধক হিসাবে কাজ করে।ঠান্ডা-সর্দিতে ধনেপাতার সাথে কাঁচা মরিচ,পেঁয়াজ,রসুন ও কালোজিরা এবং সরিষা বেটে ভর্তা করে খেলে উপকার পাওযা যায়।
ধনেপাতা বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। যৌনশক্তি বৃদ্ধি তথা যৌন উত্তেজক হিসেবে ধনেপাতা বা ধনের বীজ পুরুষ ও মহিলাদের জন্য খুব কার্যকর ভুমিক পালন করে।পেটের শূল বেদনা সারাতে ধনেপাতা ওবীজ উপকারী। ধনেপাতার রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ধনের সবুজ পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ যা অধিকাংশ শাক-সবজির চেয়ে বেশি। আয়রণে পরিমাণ কচুশাক,লালশাক ও ডাঁটাশাক ছাড়া সব-শাকসবজির চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে।এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দৈনিক ১০০ গ্রাম ধনেপাতা খেলে তার দৈনিক আয়রণের চাহিদাণ পূরণ হয়।
ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ডাঁটা, কচুশাক,লালশাক শিম ছাড়া সব শক-সবজির চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। অন্য সব পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রম খাদ্যোপযোগী ধনেপাতায় রয়েছে জলীয় অংশ ৮৬.৩ গ্রাম।খনিজ পদার্থ ২.৩ গ্রাম,আশঁ ১.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৪ কিলোক্যালোরি, আমিষ ৩.৩ গ্রাম,চর্বি ০.৬ গ্রাম শকর্রা ৬.৩ গ্রাম,ক্যালসিয়াম ১৮৪ মিলিগ্রাম,আয়রণ ১৮.৫ মিলি গ্রাম,ক্যারোটিন ভিটামিন এ ৬৯১৮ মাইক্রো গ্রাম,ভিটামিন বি ১০.০৫ মিলিগ্রাম,ভিটামিন বি- ২০.০৬ মিলি গ্রাম ও ভিটামিন সি ১৩৫ মিলিগ্রাম। তবে এই পুষ্টিমান ধনের জাত,উৎপাদনের স্থান ও মাটির ওপর নির্ভরশীল।