শিশুর জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই। এইজন্য জন্মের পর থেকে প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ দেওয়া হয়। ছয় মাসের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শক্ত খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এই বয়সে শিশুকে কী খাওয়াবেন আর কী খাওয়াবেন না তা নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বাবা মাকে। এক বছর হওয়ার আগে শিশুকে দিতে পারেন এই খাবারগুলো।
১। ডিম- প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল ডিম। এটি শিশুর মেধা বিকাশে সাহায্য করে। এছাড়া এটি হাড়কে মজবুত করে থাকে। সিদ্ধ অথবা খাবারের সাথে ডিম মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান। একটি ডিম একবারে খেতে না চাইলে অল্প অল্প করে কয়েকবার খাওয়ান।
২। পালং শাক-পালংশাক আয়রন সমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি শরীরে রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে যা আপনার শিশুকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
৩। পেঁয়াজ-পেঁয়াজ নামটি শুনে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এতটুকু শিশুকে কীভাবে পেঁয়াজ খাওয়াবেন! অল্প পরিমাণ পেঁয়াজের পেস্ট শিশুর খাবারের সাথে মিশিয়ে নিন। পেঁয়াজের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান অভ্যন্তরীণ ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।
৪। আপেল-ফলের মধ্যে আপেল দিতে পারেন। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপেল কুচির পেস্ট করে নিন। এটি শিশুকে খেতে দিন। আপেলের রসও দিতে পারেন। তবে বাজারের জুস দেবেন না। এতে রাসায়নিক পর্দাথ থাকে, যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
৫। রসুন-পেঁয়াজের মত রসুন শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। শিশুর খিচুড়ির সাথে অল্প করে রসুনের পেস্ট দিয়ে দিন। এটি খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে শিশুর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে।
৬। মাছ-শিশুর খাবারে মাছ যুক্ত করুন। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন মাছ খাবারে রাখুন। সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা শিশুর অভ্যন্তরীণ গঠন মজবুত করে। চেষ্টা করুন সপ্তাহে এক বার সামুদ্রিক মাছ শিশুর খাবারে রাখার।
৭। সাইট্রাস ফল-সাইট্রাস ফল যেমন কমলা, মাল্টা ইত্যাদি খাবারের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা শিশুর অভ্যন্তরীণ ছোটখাটো অসুস্থতা সারিয়ে তোলে।
এছাড়া ওটস, শস্যদানা, খিচুড়ি, সুজি শিশুকে দিতে পারেন। খিচুড়িতে মাছ, সবজি একসাথে মিশিয়ে রান্না করুন। এতে সবগুলো উপাদান একসাথে পাওয়া যাবে। এছাড়া সুজির হালুয়া দিতে পারেন মাঝে মাঝে। ফলের জুস খাওয়াতে পারেন, তবে তা অব্যশই ঘরে তৈরি হওয়া উচিত।