এজন্য যা যা লাগবে
– পরিষ্কার শুকনো ঢাকনা সহ পাত্র বা কন্টেইনার (ছোট পট নেবেন, খুব বড় যেন না হয়, আপনি চাইলে কিনে নিতে পারেন অথবা সিঙ্গেল আইশ্যাডোর বাক্স বা লিপ বামের খালি জার-ও ব্যবহার করতে পারেন)
– পরিষ্কার কাঁচের প্লেট বা প্লাস্টিকের ছোট বোল
– পেট্রোলিয়াম জ়েলী
– গাঢ় কালো রঙের আই শ্যাডো (শিমার বা শাইন বিহীন হতে হবে )
– প্লাস্টিকের চামচ
– টুথ পিক
– টিস্যু পেপার
যেভাবে করবেন
০১. প্রথমেই পরিষ্কার ও শুকনো পট নিয়ে নিন। বাজারে কেনা পট হলে শুধু মুছে নিন। আর যদি অন্য কিছুর হয়ে থাকে তবে আগেই ধুয়ে-মুছে প্রস্তুত করে নিন যেন অন্য কোন প্রোডাক্টের আঁচ না থাকে। লিপ বামের পট হলে ভালো করে পরিষ্কার করবেন এবং মুছে শুকাতে দেবেন। খেয়াল রখবেন যেন কোন ভাবেই ভেজা ভাব না থাকে।
০২. এবার কাঁচের বা প্লাস্টিকের ছোট প্লেট বা বাটি বা বোল নিন।
০৩. প্লেট বা বোল টিতে প্লাস্টিকের চামচের সাহায্যে পরিমাণ মত (কম পক্ষে ২ চামচ) পেট্রোলিয়াম জ়েলী বের করে নিন।
০৪. তারপর অল্প পরিমাণে গাঢ় কালো রঙের আই শ্যাডো বের করুন, খেয়াল রাখবেন কম বেশি যেন না হয়। শ্যাডোর পরিমাণ আপনার ব্যবহৃত শ্যাডোর কোয়ালিটি ও পিগমেন্টেশনের উপর নির্ভর করবে।
০৫. এবার টুথ পিকের সাহায্যে দুটি জিনিস খুব ভালো মত মেশাতে থাকুন। ততক্ষণ পর্যন্ত মেশাবেন যতক্ষন না স্মুথ পেস্ট তথা জেলের মত হয়। আর একটা ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন যাতে সব টুকু পেট্রোলিয়াম জ়েলী সমান ভাবে শ্যাডোর সথে মিশে যায়। খুব আস্তে আস্তে, সতর্ক ভাবে করুন কাজটি।
০৬. আবার প্লাস্টিকের চামচের সাহায্যে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে নিন সমান ভাবে মিশেছে কি না।
০৭. মিশে গেলে সমস্ত মিশ্রণটি সেই শুকনো ঢাকনা সহ পাত্রটিতে রেখে দিন। সাবধানে রাখবেন যেন ছড়িয়ে না পড়ে।
০৮. তারপর টিস্যু পেপার দিয়ে বাড়তি লাইনার পাত্রের গা থেকে মুছে ফেলুন।
০৯. অল্প তাপে কিছুক্ষণ মাইক্রোওয়েভে রাখুন, ১-২ মিনিট পর বের করে আনুন। (পরবর্তীতে ব্যবহারের সময় যদি জমাট মনে হয় তবে এমনি করে কিছুক্ষন তাপ দিলেই ঠিক হয়ে যাবে )।
১০. সবশেষে ১-২ ঘণ্টার মত সময় ধরে রেফ্রিজারেট করুন। এবার এটি পুরোপুরি ভাবে ব্যবহার উপযোগী।
ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আপনার জেল আইলাইনার। এখন আর আপনাকে ৬০০-২০০০ টাকা খরচ করে জেল আইলাইনার কিনতে হচ্ছে না, তাছাড়া রেহাই পাচ্ছেন মাসব্যপী অপেক্ষা থেকেও। তবে আর দেরী কেন?? ঝটপট তৈরি করে নিন আপনার জেল আই লাইনারটি।