এই ভারতীয় দম্পতি আর পাঁচটা সাধারণ স্বামী-স্ত্রীর মতোই জীবনযাপন করতেন। চার দেওয়ালের মধ্যেই আবদ্ধ ছিল তাঁদের যৌনজীবন। কিন্তু একটি রাতের পর তাঁদের জীবনে এল বড়সড় পরিবর্তন। প্রকাশ্যে এল তাঁদের সঙ্গমের মুহূর্ত। অনলাইনে তাঁদের যৌন মিলনের সাক্ষী হল গোটা দুনিয়া। সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন ৩৪ বছরের মহিলা।
মারওয়ারি পরিবারের মহিলা পেশায় ডিজাইনার। স্বামী ব্যবসায়ী। একদিন পর্নগ্রাফি দেখার সময় হঠাৎই স্বামীর চোখে পড়ে একটি ওয়েবসাইট। নাম অ্যাডাল্ট ফ্রেন্ড ফাইন্ডার। জানতে পারেন, এই সাইটে দর্শকরা অনলাইনে Live যৌনমিলন দেখতে পছন্দ করেন। বিষয়টি মনে ধরে স্বামীর। সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীকে প্রস্তাবও দিয়ে বসেন। কিন্তু শুরুতে এমন কাজে রাজি হননি স্ত্রী। হাজার হোক, তাঁদের গোপন কেমিস্ট্রি ধরা পড়বে অনলাইনে! সকলের চোখের সামনে সঙ্গমের বিষয়টি ভেবেই বেশ অস্তস্তি হয় স্ত্রীর। কিন্তু এ তো আর পর্ন ছবির মতো নতুন নতুন অভিনেতা, অভিনেত্রীদরে সঙ্গে শুটিং নয়। তাই শেষমেশ স্বামীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান তিনি।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ওই সাইটে একটি প্রোফাইল বানিয়ে ফেলেন তাঁরা। ব্যক্তিগত পরিচয় বলতে শুধু বয়স দিলেই তৈরি হয়ে যায় প্রোফাইল। তারপর ফেসবুকের মতো ফ্রেন্ড লিস্ট তৈরি করা যায় নিজেই। যাঁরা হবেন এই যৌনমিলনের দর্শক। এখানে লাইভ ভিডিও যেমন দেখা যাবে, তেমনই বন্ধুদের ‘ইনভাইট’ পাঠিয়েও ভিডিও দেখানো যাবে। আর সঙ্গম শেষ হওয়া মাত্র সাইট থেকে ভিডিওটি আপনা থেকে উধাও হয়ে যাবে। নিজের বন্ধু তালিকায় কোনও ভারতীয়কে রাখেননি মহিলা। আর মিলনের সময় নিজের মুখও ঢেকে রাখতেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিবাহিত জীবনের ১০ বছরে একঘেয়েমি কাটাতে নানা ধরনের সেক্স পজিশন পরীক্ষা করে দেখেছেন। সেভাবেই ‘লাইভ’-এ দর্শকদের মনোরঞ্জন করতেন তাঁরা। প্রথমে ইতস্তত করলেও লাইভ যৌন মিলনের বিষয়টি পরবর্তীকালে দারুণ উপভোগ করতে থাকেন তিনি। তবে বর্তমানে এই কাজে ইতি টেনেছেন তাঁরা। স্বামী জারিজুরি করলেও অবশেষে স্ত্রীয়ের অনুরোধ মেনে নেন। নেটদুনিয়া থেকে প্রণয় ফের চার দেওয়ালেই ঠাঁই পেয়েছে। তবে অন্যান্য দম্পতিদের এমন কাজে বুঝেসুঝে পা ফেলারই পরামর্শ দিলেন ওই অভিজ্ঞ মহিলা।