উপকরনঃ – পোলাউ চালঃ আধা কেজি – ছোলাঃ এক কাপের চেয়ে কম – পেঁয়াজ কুচিঃ হাফ কাপ – দারুচিনিঃ দুই টুকরা – এলাচিঃ দুই তিনটে – আদা বাটাঃ দুই টেবিল চামচ – রসুন বাটাঃ এক টেবিল চামচ – জিরা বাটাঃ হাফ চা চামচ – কাঁচা মরিচঃ কয়েকটা – লবন – তেল (হাফ কাপের কম) – পানি
প্রনালীঃ
১. লবন যোগে ছোলা ভাল করে সিদ্ব করে নিন। তার পর ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন। পোলাউ চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. এবার কড়াইতে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ ভাঁজুন। তার পর আদা, রসুন এবং জিরা বাটা, দারুচিনি, এলাচি দিয়ে দিন। কয়েকটা কাঁচা মরিচ চিরে দিতে পারেন।ভাল করে ভেঁজে নিন। তেল উঠে যাবে।
৩. এবার ছোলা দিয়ে দিন। এবং ভাল করে কষিয়ে নিন।সুন্দর একটা ঘ্রান বের হবে। এবার পোলাউ চাল দিয়ে দিন।ভাল করে মিশিয়ে নিন।৪. এবার পানি দিন। পানির পরিমান হতে হবে চাউলের উপর এক ইঞ্চির মত। যারা পোলাউ রান্না করতে জানেন তারা খুব সহজে এই পানির অনুমান করতে পারবেন। পানি শুরুতে কম হলেও কিছু যাবে আসবে না, পানি কম হলে দেয়ার অপশন আছে। শেষের দিকে।
৫. এবার হালকা আঁচে মিনিট বিশেকের জন্য ঢেকে রাখুন। কোথায়ও গিয়ে বসে পড়লে চলবে না! রান্নাঘরেই থাকুন। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে। পানিতে এবার লবন দেখুন, পোলাউএর পানি কটা হতে হবে। (লবন ছোলা সিদ্বে এবং শুরুতে দেয়া হয়েছে, কাজেই বুঝে শুনে)
৬. চাল দেখেই বুঝতে পারবেন, আরো পানি লাগবে কি না। লাগলে পানি দেবেন তবে বুঝে, পানি বেশি হয়ে গেলে পোলাউ নরম এবং ভিজাভিজা হয়ে যেতে পারে, তাই সাবধানে!৭. আগুন বেশি না লাগার জন্য তাওয়া দিয়ে দম দিতে পারেন। অল্প আঁচে হতে থাকুক। ঢাকনা থাকবে। আশা করি আরো মিনিট বিশেকের মধ্য হয়ে যাবে।
ব্যস হয়ে গেল। পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। ইফতারে এই পোলাউ ভাগাভাগি করে খেতে বেশ মজাদার। একবার রান্না করে দেখুন এবং আমি আশা করি আমার সাথে আপনি একমত হবেন ও বলবেন, ওয়াও!