বাইরে দিয়ে গোলাকার স্টেডিয়ামের মতো দেখতে হলেও আসলে স্পেসশিপ বা মহাকাশযানের মতো নকশায় অ্যাপলের প্রধান কার্যালয় তৈরি হচ্ছে। চলতি বছর থেকেই নতুন কার্যালয়ে কার্যক্রম শুরুর কথা বিশ্বের অন্যতম এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু এখনো পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি। কারণ, অ্যাপল সবকিছু নিখুঁত করতে চায়। কোথাও রাখতে চায়নি সামান্যতম ত্রুটি। তাই এর নির্মাণ কাজ শেষ হতে কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। যদিও ২০১৩ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০১৫ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
ভবনটির নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের বাঁকানো কাচ। এতে থাকছে ২৮ লাখ বর্গফুট অফিস স্পেস, যেখানে ১২ হাজার কর্মী কর্মরত থাকবেন। এ ছাড়াও এতে এক হাজার আসনবিশিষ্ট আন্ডারগ্রাউন্ড অডিটোরিয়াম, কর্মীদের জন্য ১০ হাজার বর্গফুট আকারের একটি ফিটনেস সেন্টার এবং প্রায় ১১ হাজার গাড়ি পার্কিং সুবিধাসম্পন্ন দুটি আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারেজ থাকছে। এই গ্যারেজগুলোতে আন্ডারগ্রাউন্ড সুড়ঙ্গের মাধ্যমে প্রবেশ করা যাবে। কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্যেও আন্ডারগ্রাউন্ড সুড়ঙ্গ ব্যবহৃত হবে। ভবনটির ‘অবজারভেশন ডেক’ থেকে কর্মী আর দর্শনার্থীরা চারপাশের পুরো এলাকা দেখার সুযোগ পাবেন। থাকছে আরও অত্যাধুনিক ব্যবস্থাও।
এই বছরেই অ্যাপল এ কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থানান্তরিত করা শুরু করবে বলে জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
এক নজরে দেখে নেয়া যাক ক্যাম্পাসটির কিছু তথ্য:
১) ১৭৬ একর ক্যাম্পাস এলাকা।
২) এক লাখ বর্গফুট ফিটনেস সেন্টার।
৩) সাইট এলাকায় পৃথক গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ।
৪) অফিসের জায়গার জন্য বরাদ্দ ২৮ লাখ বর্গফুট।
৫) আন্ডারগ্রাউন্ডে এক হাজার সিটের অ্যাপল থিয়েটার অডিটোরিয়াম।
৬) শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার।
৭) ভবন নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার।