বয়স মাত্র ২০ বা ৩০-র ঘরে আর এর মধ্যেই মাথার চুল সাদা হয়ে যাচ্ছে ? বিভিন্ন কারণের জন্য মাথার চুল সাদা হতে পারে। জেনেটিক কারণে হতে পারে‚ বা ভিটামিনের অভাবও একটা প্রধান কারণ হতে পারে। এছাড়াও স্মোকিং এর কারণে চুল পেকে যেতে পারে। কিন্তু এছাড়াও এমন কয়েকটা খাবার আছে যা খেলে চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। নীচে কয়েকটা খাবারের নাম দেওয়া হলো যা এড়িয়ে চললে অন্তত ৫০ বছর অবধি আপনার চুল পাকবে না।
১) সুগার অ্যান্ড সল্ট :
চিনি নিজেই বা যে সব খাবারে অতিমাত্রায় চিনি থাকে যেমন সফ্ট ড্রিঙ্কস আর জাঙ্ক ফুড বয়েস হওয়ার আগেই চুলে পাক ধরাতে পারে। চিনি খেলে শরীরে ভিটামিন ই কমে যায়। আর ভিটামিন ই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যা হেয়ার গ্রোথ কন্ট্রোল করে। কৃত্রিম মিষ্টির বদলে প্রাকৃতিক চিনি যা বিভিন্ন ফল‚ সবজি এবং মিষ্টি আলুতে পাওয়া যায় তা শরীরের জন্য কিন্তু খুব উপকারী।
এমনিতে নুন খুবই গুরুত্বপূর্ণ শরীরের নর্মাল ফ্লুইড ব্যালেন্স বজায় রাখার জন্য। কিন্তু এটা বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের ওপর বাজে প্রভাব পড়বে।
২) মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট :
সাধারণত একে আমরা আজিনা মোতো নামেই চিনি যা প্রসেসড খাবার ব্যবহার করা হয় স্বাদ বৃদ্ধির জন্য। মাঝে মাঝে অল্প পরিমাণে খেলে খুব একটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু নিয়মিত যদি খাওয়া হয় তাহলেই এর ক্ষতি কদিনের মধ্যে চোখে পড়বে। অনেক ডাক্তার এবং ডায়েটিশিয়ানরা মানেন শরীরের মেটাবলিজম ঠিক মতো হতে দেয় না এটা। বয়েসের আগেই চুল সাদা হয়ে যায়। তাই প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চললে শুধু যে আপনার ওজন কমবে তা নয় একই সঙ্গে চুলও বহুদিন কালো থাকবে।
৩) অ্যানিমাল প্রোটিন : অতিমাত্রায় মাংস‚ মাছ বা ডিম খেলেও কিন্তু অকালে আপনার চুল পেকে যেতে পারে। আমাদের ডায়জেস্টিভ সিস্টেম অনেক ধরণের অ্যানিমাল প্রোটিন হজম করতে পারে না‚ ফলে তা ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। শরীরে অতিমাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদন হলে চুল পেকে যায়। তাই সঠিক পরিমাণে মাংস বা মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪) আর্টিফিশিয়াল রঙ আর চিনি যুক্ত খাবার :
এই ধরণের খাবারগুলো দেখতে এত লোভনীয় হয় যে এইগুলো খেলে আমাদের শরীরে কী ক্ষতি হতে পারে তা ভুলে যাই। শরীরের নানাবিধ ক্ষতি ছাড়াও বয়েসের আগে চুল সাদা হয়ে যাবে এগুলো খেলে। তাই পরের বার ভেলভেট কেক বা পেস্ট্রি খাওয়ার আগে একবার ভেবে দেখুন।