নিজের ইচ্ছায় ভারতের সীমিত ওভারের দলের অধিনায়কত্ব ছাড়েননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। নির্বাচকরা তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই ধোনিকে সরিয়ে বিরাট কোহলিকে সব ফর্ম্যাটে ভারতের অধিনায়ক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। ২১ সেপ্টেম্বর নতুন দল নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৯ সালের একদিনের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই নতুন করে দল গঠন করার কাজ শুরু করে দেন নির্বাচকরা। তাঁরা দু বছর পরে ধোনিকে আর বিশ্বকাপের দলে দেখার আশা করছেন না। সেই কারণেই নেতৃত্ব বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নাগপুরে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল চলাকালীন ধোনির সঙ্গে দেখা করেন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ। গুজরাতের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের মেন্টর ছিলেন ধোনি। সেই সময়ই তাঁকে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে বলেন প্রসাদ। এরপরেই ধোনি পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন।
বিরাটের নেতৃত্বাধীন টেস্ট দল সম্প্রতি অসাধারণ সাফল্য পাচ্ছে। পরপর পাঁচটি সিরিজ জিতেছে ভারত। অপরাজিত ১৮টি টেস্টে। বিরাট অবিশ্বাস্য ফর্মে আছেন। সেই তুলনায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের সাফল্য কম। ধোনি-শিবিরের দাবি, নির্বাচকরা টেস্টের উপর জোর দিচ্ছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে ভারতের তিন প্রথমসারির বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা ও মহম্মদ শামিকে বিশ্রাম দেওয়া তারই প্রমাণ। এভাবেই পরিকল্পনামাফিক ধোনিকে সরিয়ে দেওয়া হল।