৭-১ এর কষ্টাটা ১-০ তে মেটালো ব্রাজিল। তবে এজন্য শেষ পর্যন্ত লড়তে হয়েছে ব্রাজিলকে। কষ্টের শেষটাও হয়েছে একটা মধুর প্রতিশোধের মধ্য দিয়ে। ২০১৪ সালে জার্মানির কাছে নিজেদের মাঠে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছিলো ব্রাজিল। গতকালের ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে তারই প্রতিশোধ নিলো তিতের শিষ্যরা। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ভূত যেন চার বছর পর আবারও চেপে বসেছিল ব্রাজিলের ঘাড়ে। প্রথম ৩৫ মিনিট সুবিধা করতে পারেনি তারা। বরং জার্মানি দাপটের সঙ্গে আক্রমণ চালিয়েছে বেশ কয়েকবার। ৯ মিনিটে টনি ক্রসের ফ্রিকিক থেকে বোয়েটাং বল দেন মারিও গোমেসকে, স্টুটগার্টের অ্যাটাকারকে সময়মতো বাধা দেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন।
২১ মিনিটে লিওন গোরেৎকার গোলপোস্টের বেশ কাছ থেকে হেড নেন। কিন্তু বল চলে যায় গোলবারের পাশ দিয়ে। আবারও ৩৫ মিনিটে একইভাবে ব্যর্থ হন শ্যালকের এ মিডফিল্ডার। পরের মিনিট থেকে দুর্দান্ত ফেরার আভাস দেয় ব্রাজিল। ৩৬ মিনিটে দারুণ চেষ্টায় গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। দুইজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে লক্ষ্যে শট নেন, কিন্তু ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল চলে যায় মাঠের বাইরে। এই ভুলের দুঃখ পরের মিনিটে কাটিয়ে ওঠেন ম্যানসিটির স্ট্রাইকার। ৩৭ মিনিটে উইলিয়ানের চমৎকার ক্রস মাপা হেডে গোলমুখে পাঠান হেসুস। জার্মান গোলরক্ষক কেভিন ট্র্যাপ হাত দিয়ে বল প্রায় আটকে দিয়েছিলেন। কিন্তু পেছনে পড়ে যাওয়ায় পারেননি ব্রাজিলের গোল ঠেকাতে।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল। বিরতির পর আরও কয়েকবার আক্রমণ চালায় ব্রাজিল। ৫৬ মিনিটে উইলিয়ানের শট দারুণ চেষ্টায় প্রতিহত করেন রুদিগার। দুই মিনিট পর কৌতিনিয়ো বল তুলে মারেন গোলবারের ওপর দিয়ে। ৬৮ মিনিটে হেসুসের হেড গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায়। ২০০৪ সালের পর প্রথমবার টানা চার ম্যাচ জয়হীন থাকলো জার্মানি। আর ২০১৬ সালের পর প্রথম হারের স্বাদ পেলো তারা। ওই বছর ইউরোতে ফ্রান্সের কাছে হারে তারা।