জিলাপির মিশ্রণের জন্য: ময়দা ২ কাপ। টক দই ৫ টেবিল-চামচ। ইস্ট দেড় চা-চামচ। কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল-চামচ। চিনি ১ চা-চামচ। লবণ ১ চা-চামচ বা স্বাদ মতো। তেল ৪ টেবিল-চামচ। ২ কাপ পানি (হালকা গরম)। তেল ৩ কাপ (ভাজার জন্য)।
ময়দার সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার, চিনি, তেল, লবণ, দই, ইস্ট মিশিয়ে পানি দিয়ে খামির করে নিন৷ খামির হাত দিয়ে তুলুন। যদি দেখেন খামিরটা আঙুল বেয়ে তারের মতো করে পড়ে যাচ্ছে, বুঝতে হবে খামির ঠিক আছে৷ এখন ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন৷
সিরার জন্য: ৩ কাপ পানি। ২ কাপ গুড়। চিনি ১ কাপ। ১ টেবিল-চামচ ঘি। ১ চা-চামচ গোলাপজল। ৩টি এলাচি। লেবুর রস ১ চা –চামচ। লাল খাবার রং এক ফোটা৷
সিরার সব উপকরণ হাঁড়িতে নিয়ে চুলায় জ্বাল দিন৷ ৬ থেকে ৭ মিনিট পর ফুটে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিন৷ সিরা বেশি জ্বাল দিলে জমে যাবে।
এছাড়া, প্লাস্টিকের খালি সস বা পানীয়র বোতল কিনতে পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করুন। অথবা কেক সাজানোর জন্য পাইপিং ব্যাগ অথবা প্লাস্টিকের দুধের প্যাকেট করে জিলাপি বানাতে পারেন৷
পদ্ধতি: কড়াইতে ডুবো তেল দিয়ে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে দিন। তেল বেশ গরম হওয়ার আগেই সসের বোতলে জিলাপির খামির ভরে নিন।
প্রথমে একবার হাত ঘুরিয়ে গোল করে খামির তেলের উপরে ফেলুন এবং যতটা সম্ভব খামির পেঁচিয়ে জিলাপির প্যাঁচ দিন৷
তেল বেশি গরম হলেই খামির সরে যায় তখন প্যাঁচ দেওয়া যায় না। তাই তেল হালকা গরম থাকতেই প্যাঁচ দিতে হয়৷
এই নিয়ম মানতে পারলে জিলাপির তৈরি করা জটিল হবে না। এভাবে জিলাপি বানিয়ে মচমচে করে ভেজে তেল থেকে তুলে, গরম সিরায় ডুবিয়ে ১ মিনিটের মতো জিলাপি উল্টেপাল্টে সিরা লাগিয়ে নিন। তারপর সিরা থেকে তুলে পরিবেশন প্লেটে রাখুন৷
আবার জিলাপি দেওয়ার আগে চুলা বন্ধ করে তেল কিছুটা ঠাণ্ডা করে বাকি জিলাপি তৈরি করুন৷
সিরা হওয়ার পর সঠিক সিরা হয়েছে কিনা দেখার জন্য এক আঙুল গরম সিরা একটু নিয়ে অন্য আঙুল দিয়ে ধরলে আঠালো লাগবে এবং চিকন তারের মতো হালকা দুই আঙুল মাঝখানে দেখা গেলে বুঝতে হবে সিরা সঠিক হয়েছে৷