সিরিঞ্জ, পেন, পাম্প, জেট ইঞ্জেকটর- এগুলোই এত দিন ছিল ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার সহায়ক!
তবে, ছবিটা এবার বদলাতে চলেছে। সৌজন্যে, নয়া ইনসুলিন প্যাচ ওয়ানটাচ!
ঠিক কী ভাবে ইনসুলিনের তৎক্ষণাৎ জোগান মেটাচ্ছে এই যন্ত্র?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই যন্ত্রের সঙ্গে লাগানো রয়েছে একটা জলনিরোধক প্যাচ যা সরাসরি শরীরে ইনসুলিনের জোগান দেবে। তার জন্য শুধু যন্ত্রটাকে পড়তে হবে আর টিপতে হবে দুটো বোতাম। ব্যস, এটুকুই!
এক দিক থেকে দেখলে পদ্ধতিটা অত্যন্ত মসৃণ সন্দেহ নেই! কেন না, এর আগে যে সব পদ্ধতি প্রচলিত ছিল, তার চেয়ে এখানে ঝামেলা অনেক কম।
এছাড়া আরও একটা দিক থেকে এই যন্ত্র ডায়াবেটিস রোগীদের স্বস্তি দিচ্ছে। ইনসুলিনের তৎক্ষণাৎ জোগান প্রয়োজন হলে অনেক রোগীই অস্বস্তিতে পড়েন। তাঁরা যখন সিরিঞ্জ বের করে সবার সামনে ইনসুলিন নিতে যান, তখন অনেক কৌতূহলী দৃষ্টির সামনে পড়তে হয়। অনেক কৈফিয়তও দিতে হয় যে তাঁরা ড্রাগ নিচ্ছেন না!
ফলে, এসব ক্ষেত্রে অনেক রোগীই দরকার হলেও ব্যাপারটা চেপে যান! একটা কী দুটো ডোজ নেন না। যার ফলে, অসুখ তো সারতেই চায় না, শরীরও খারাপ হতে থাকে।
কিন্তু, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই মেশিন পরে থাকা যায় জামার তলাতেও! একটানা তিন দিন ব্যবহার করা যায় বলে বার বার বদলানোর সমস্যাও নেই! যা নিঃসন্দেহে ডায়াবেটিস রোগীদের স্বস্তি দিচ্ছে।
চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, এই যন্ত্রটি ব্যবহারে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই! ইতিমধ্যেই বিশ্বের অনেক ডায়াবেটিস রোগী এই যন্ত্রটি ব্যবহার করেছেন এবং সব দিক থেকেই নিরাপদে রয়েছেন।
সুখবর, সন্দেহ নেই!