রাতকানা রোগ প্রতিরোধে আগামী ৫ আগস্ট সারাদেশে ২ কোটি ২৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে এবং শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে উঠা ও রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সকল অভিভাবকদেরকে তাঁদের ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিশুদেরকে ভরা পেটে কেন্দ্রে আনতে হবে এবং জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো ঠিক হবে না। অসুস্থ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাহিদ মালেক বলেন, ‘ওইদিন ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রংয়ের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রংয়ের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
একই সঙ্গে শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতায় দেশব্যাপী ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ীকেন্দ্রসহ অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো থাকবে বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ ও ফেরি ঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন ও খেয়া ঘাটে। তবে দুর্গম এলাকায় ভিটামিট-এ ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য একদিন পর (৬ থেকে ৯ আগস্ট) টানা চারদিন বিশেষ ব্যবস্থায় এই ভিটামিন খাওয়ানো হবে।’ কুচক্রী মহলের নেতিবাচক প্রচারণায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর জন্য অপরিহার্য ও নিরাপদ। এই ক্যাপসুল খেলে শিশুর কোনো ক্ষতি হবে না। সুস্থ জাতি গঠনের লক্ষ্যে ৫ আগস্ট শনিবার দেশের সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর কর্মসূচিকে সফল করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।