* বাজারে রোজ যাওয়া সম্ভব হয় না, তাই অনেকটা মাছ-মাংস একবারে কিনে ডিপ ফ্রিজে চালান করে দেওয়া হয়। রান্না করার আগে সেই মাছ বা মাংসের প্যাকেট বের করে সেখান থেকেই রোজেরটা সরিয়ে নিয়ে আবার বাকিটা তুলে রাখা হয়। একটা প্যাকেট বা কন্টেনারে সব মাছ-মাংস রাখলে এ ক্ষেত্রে একটি সমস্যা হতে পারে।
* জমাট বরফ না গলা পর্যন্ত মাছ বা মাংস আলাদা করা যায় না। এই ভাবে অনেকক্ষণ বাইরে রাখার পরে যে অংশ কাঁচা অবস্থায় আবার তুলে দেওয়া হল, তাতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাধতে পারে। তাপমাত্রার হেরফেরের জন্য এমনটা হয়। তাই এক বারে বেশ কিছু দিনের জন্য রাখতে হলে আলাদা আলাদা কন্টেনার বা প্যাকেট করে রাখতে হবে। যাতে নির্দিষ্ট কোনও দিনের জন্য যেটুকু দরকার, সেটাই বাইরে বের করা হয়।
* রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। বার বার খাবার বের করে গরম করে আবার ফ্রিজে যেন ঢোকাতে না হয়। বরং আলাদা পাত্রে খাবার রাখবেন।
* অনেকের ধারণা গরম অবস্থায় খাবার ফ্রিজে রাখলে সেটি পচে যায়। তা নয়। খাবার ঠাণ্ডা করে তোলা হয়, যাতে কম্প্রেসারের ওপর চাপ কম পড়ে। বরং অল্প গরম অবস্থাতেই খাবার ফ্রিজে রাখবেন।
* বার বার ফ্রিজ খুলবেন আর বন্ধ করবেন না।
* তবে শাকসব্জি বা ফলে ফ্রিজে বেশ কিছু দিন রেখে খেলে তার থেকে খানিকটা ভিটামিন-মিনারেল কমে যায়।
* মাছ-মাংস ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে। তবে ৩-৪ দিনের বেশি রাখা উচিত নয়।
* ফ্রিজের খাবার সব সময় ঢাকা দিয়ে রাখবেন। নইলে বিভিন্ন খাবারের গন্ধ মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।
* কাঁচা সব্জি প্যাকেটে মুড়ে না রাখলে তার থেকে আর্দ্রতা চলে যায়।
* অনেকের ধারণা, ঠান্ডা জল খেলে মোটা হয়ে যায়। কিন্তু ঠাণ্ডা জলে কোনও ক্যালোরি নেই। তাই মোটা হওয়ার ভয় নেই।