জেনেটিক্স এবং জীবনধারার অভ্যাস ত্বকের স্বাস্থ্যের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক খাদ্য গ্রহণের ফলে আপনার ত্বক ব্রণের সাথে যুদ্ধ করবে, ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করবে এবং আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।ফল ও শাকসবজিকে স্বাস্থ্যকর খাবার বলা হয়। কারন, এর মাঝে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। ফল ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ তে সমৃদ্ধ থাকে।
আসুন জেনে নেয়া যাক, সেই অপরিহার্য খাবারের নামের তালিকা-
# ক্রান্তীয় ফল:
পেয়ারা, আনারস, পেঁপে এবং অন্যান্য ক্রান্তীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যা আপনার ত্বককে ক্ষতিকর মৌল থেকে রক্ষা করবে। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফল। আমাদের ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। ফল খাবার ফলে আমাদের ত্বকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ জনপূর্ণ হয়। এছাড়াও ভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। কোলাজেন হল একটি প্রোটিন যা আপনার ত্বককে দৃঢ় ও ইলাস্টিক রাখতে সাহায্য করে।
# কাজুবাদাম:
কাজুবাদাম ভিটামিন ই এর সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস। কাজুবাদামকে স্ন্যাক হিসেবে, মাছ, মুরগি ও বিভিন্ন সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। কাজুবাদামের ভিটামিন ই আপনাকে সূর্যের ক্ষতিকর কিরণ থেকে রক্ষা করবে। তবে কাজুবাদাম একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে। কারন, এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে।
# গাজর:
আপনার ত্বককে সুন্দর রাখতে এবং ত্বকের স্পন্দনশীলতা বজায় রাখতে অবশ্যই গাজর খাবার অভ্যাস করুন। গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন বা পিঙ্গল পদার্থ, একটি উচ্চ মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের ভিতরে প্রবেশ করার পরে ভিটামিন এ তে রুপান্তরিত হয়। এটি চামড়ার টিস্যু মেরামত করে এবং সূর্যের ক্ষতিকর কিরণকে প্রতিরোধ করে। সালাদের সাথে গাজর খেতে পারেন। এতে সামান্য পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। গাজরের হালুয়া তৈরি করে খেতে পারেন। এতে আপনি মিষ্টিজাতীয় খাবার উপভোগ করতে পারবেন।
# মাছ:
তৈলাক্ত মাছসমূহ ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভাল। মাছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড ওমেগা-৩ বিদ্যামান। মাছ খাবার ফলে ত্বকের ক্ষতিকর পদার্থ চামড়া থেকে বের হয়ে যায়। তবে মাছ অস্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করবেন না। ডুব তেলে মাছ ভাঁজবেন না। এতে ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
# পানি:
পানি আমাদের ত্বকের জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য একটি উপাদান। আমাদের শরীরের বিষক্রিয়াজনিত সকল ব্যথা পানি পান করার মাধ্যমে দূর করা হয়। শরীরের সকল কার্জ সম্পাদনের জন্য পানির প্রয়োজন। তাই, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ত্বককে নমনীয় ও পরিষ্কার রাখার জন্য পানির বিকল্প নেই।
এই ৬টি খাবার প্রত্যেহ আপনার খাদ্যতালিকায় বরাদ্দ করুন। আশা করি, আপনার ত্বকের কোন ধরণের সমস্যা থাকবে না।