আম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া দায়। বাজারে গেলেই এখন পাকা আমের গন্ধে ভরে ওঠে মন। কিন্তু এ সুস্বাদু আমে এখন ফরমালিনে ভরা। যা আমাদের দেহের জন্য মারাত্নক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফরমালিনসহ বিভিন্ন ধরণের ক্যামিকেল ব্যবহার করায় আম এখন আতঙ্কের ফল হিসেবে পরিচিত। তবে কি আম খাওয়া ছেড়ে দেবেন? না তাই হয় না। তাই ফল কেনার আগে পরীক্ষা করে নিতে হবে তা ফরমালিনমুক্ত কিনা। তাই জানতে হবে ফরমালিনমুক্ত আম চেনার উপায়। আসুন জেনে নেই ফরমালিনমুক্ত আম চেনার ৮ উপায় ১. প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে আমের গায়ে মাছি বসছে কি না। কেননা ফরমালিনযুক্ত আমে মাছি বসবে না। ২. আম গাছে থাকা অবস্থায় বা গাছ পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর। ৩. কারবাইড বা অন্যকিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আমগুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছপাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই। ৪. গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারবাইড দেয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়। ৫. হিমসাগর ছাড়া আরো নানা জাতের আম আছে যেগুলো পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। গাছপাকা হলে এসব আমের ত্বকে দাগ পড়ে। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর। ৬. আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেয়া আম হলে কোনো গন্ধ থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ থাকবে। ৭. আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখেন কোনো সৌরভ নেই, কিংবা আমে টক/মিষ্টি কোনো স্বাদই নেই, বুঝবেন যে আমে ওষুধ দেয়া। ৮. আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছপাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না।