যেদিন দোকানীরা আগত বছরের নতুন নতুন পণ্য বিক্রির জন্য আকর্ষনীয় টোপ দিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করে থাকেন সেই দিনকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে বলা হয়। পশ্চিমে মূলত এই ব্ল্যাক ফ্রাইডের চলন রয়েছে। পশ্চিমা রীতি অনুযায়ী এই শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে যায় বড়দিনের ছুটির মৌসুম। প্রতি বছরের নভেম্বরের শেষ শুক্রবার পালিত হয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে। ১৮৬৯ সালের দিকে যখন আমেরিকায় ভয়াবহ মন্দা চলছিলো, তখন এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে এই বিশেষ দিনের অবতারনা করা হয়। আর ব্ল্যাক কথাটি ব্যবসায়িক দিক থেকে ইতিবাচক দিককে নির্দেশ করে।
অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, একটি ব্ল্যাক ফ্রাইডে দিবসে যে পরিমাণ বেচাকেনা হয়, তাতে এই একদিনেই আমেরিকার অর্থনীতির সূচক একলাফে অনেক উপরে ওঠে যায়। সাধারণত হিসাবের খাতায় লোকসানকে লাল কালিতে চিহ্নিত করা হলেও এ দিবসের শুরুর দিন থেকেই হিসাব-নিকাশ কালো কালিতে লেখা শুরু হয়ে যায়। কাজেই ব্যবসায় বিরাট লাভ দিয়ে যে দিনটি শুরু হয়, সেদিনকে যথার্থই ব্ল্যাক বলা যায়। ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে ব্যবসায়ী বা পণ্য নির্মাতারা তাদের নতুন পণ্যের বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামটি এসেছে সম্পূর্ণ আলাদা একটি সূত্র থেকে। থ্যাঙ্কস গিভিং ডের ঠিক পরের দিন কেনাকাটার জন্য মানুষের ভিড়, হেভি ট্র্যাফিক জ্যাম -সব কিছু মহা বিরক্তির উদ্রেক করত।ট্রাফিক সামলাতে হিমশিম খেত transport athority! তখন এই সার্বিক পরিস্থিতিকে "ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ নামে ডাকা হত। আবার অনেক অ্যামেরিকান এর বাইরেও নিজস্ব ধারনা পোষণ করেন এই নামকরন সম্পর্কে। তাদের মতে,ব্ল্যাক ফ্রাইডে শুরু হয় মাঝ রাত থেকে। মাঝ রাতেই ক্রেতাদের লাইন ধরা শুরু হয়, অন্ধকার থাকতেই স্টোর ওপেন করে দেয়া হয়, মানুষ হুড়মুড় করে দোকানের ভেতর ঢুকে যে যেটা আগে ধরতে পারে, সে সেটা সাথে সাথে কিনে ফেলে। এই সেলের ব্যাপারটা শেষ হয়ে যায় ঘন্টা খানিকের মধ্যে। অর্থাৎ সকাল হওয়ার আগেই। কাজেই সবকিছু ঘটে যায় দিনের আলো ফোটার আগে, তাই এই সেলের নাম ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল’। আমেরিকা, ইউরোপ ও চীনের এই ঢেউ বাংলাদেশেও এসে পড়েছে। তাই এ বছর প্রায় ১০ হাজার পণ্য নিয়ে বিশেষ ছাড় তথা ক্যাশব্যাক উইক চালু করেছিল দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আজকের ডিল।