জেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাটের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সময়মত বীজ, সারসহ কৃষি উপকরণ পাওয়ায় জেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে তোষা পাটের আবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলায় এ বছর পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৩ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে একশত ১০ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিনটি উপজেলায় এ বছর পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৩ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে। পাটের আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় পাটের আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে, লোহাগড়া উপজেলায় ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং কালিয়া উপজেলায় ৩ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। সদর উপজেলার সিবানন্দপুর গ্রামের ইশরাত শেখ বলেন, এবছর এক একর জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম ভাল পাট হয়েছে। পাট কাটা শুরু হয়েছে আশা করছি ভাল মূল্য পাব। লোহাগড়া উপজেলার কামঠানা গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, সময়মত ভাল মানের পাটের বীজসহ উপকরণ পাওয়ায় এবছর ৩০ শতক জমিতে পাটের আবাদ করেছি ভাল ফলন হয়েছে।
কালিয়া উপজেলার নোয়াগ্রামের মাদশা মিয়া বলেন, এবছরের শুরুতে হাট-বাজারে ১৩ থেকে ১৫শ’ টাকা দরে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে এতে আমাদের লাভ হচ্ছে। সদর উপজেলার মাইজপাড়া হাটের পাট ব্যবাসায়ী মাহাবুবুর রহমান বলেন, পাট হাটে আসতে শুরু করেছে বর্তমানে আমরা এক হাজার থেকে একহাজার ৫শ’ টাকা মূল্যে পাট ক্রয় করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক বলেন, কৃষকরা সময়মত পাটের বীজসহ সংশ্লিষ্ট উপকরণ পাওয়ায় জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে পাটের ফলনও হয়েছে ভাল। পাটের মূল্য ভাল পাওয়ায় পাট চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন কৃষকরা। আগামীতে পাটের আবাদ আরো বৃদ্ধিপাবে বলে মনে করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।