গত সেপ্টেম্বরেই আইফোন হ্যাক করে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জেতার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রযুক্তিবিশ্বে সাড়া ফেলে জিরোডিয়াম নামের একটি স্টার্ট-আপ। দুই মাস সময় দিয়ে তারা জানিয়েছিল, আইওএস৯ অপারেটিং সিস্টেমে আপডেট করা কোনো আইফোনকে হ্যাক করতে পারলেই মিলবে ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার।
সোমবার ছিল এই প্রতিযোগিতার শেষ দিন। এর মাঝের দুই মাস সময়ে অনেকগুলো হ্যাকিংয়ের ঘটনা জমা পড়লেও প্রতিযোগিতার সবগুলো শর্ত পূরণ করতে পারেনি কোনোটিই। কিন্তু প্রতিযোগিতার একদম শেষ মুহূর্তে এসে একটি হ্যাকারদল দাবি করে বসে আইওএস৯ হ্যাকিংয়ের। আর তারা প্রতিযোগিতার সবগুলো শর্ত পূরণ করতে সমর্থ হয়। ফলে জিরোডিয়ামও তাদের এই হ্যাকিংয়ের স্বীকৃতি দিয়ে তাদের ১ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার প্রদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।
অ্যাপলের আইওএস৭ সংস্করণের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম থেকেই কোনো ধরনের জিরো-ডে এক্সপ্লয়েট (সিস্টেমে থাকা কিন্তু নির্মাতা বা সিকিউরিটি সফটওয়্যার নির্মতাদের অজানা কোনো ত্রুটি ব্যবহার করে হ্যাক করা) সম্ভব হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন পরে অ্যাপলের আইফোন বা আইপ্যাডগুলোতে অ্যাপলের অজানা কোনো ত্রুটি ধরা পড়লো। আইওএস৯ হ্যাকিংয়ের এই প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে জিরোডিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা চাউকি বেকরার বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতাটি বেশ কঠিন ছিল।
এতে কেবল সাফারি বা ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করে কিংবা টেক্সট বা মাল্টিমিডিয়া মেসেজ ব্যবহার করে দূরের কোনো স্থান থেকে আপডেট আইফোন বা আইপ্যাড হ্যাকিংয়ের শর্ত ছিল। তাছাড়া এই অপারেটিং সিস্টেম অনেকটাই সুরক্ষিত বলে একে সফলভাবে হ্যাক করতে হলে শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে বের করতে হতো।
প্রতিযোগিতার শেষ দিনের আগ পর্যন্ত যে কয়েকটি দাবি জমা পড়েছিল, সেগুলোর কোনোটিতেই অ্যাপল ডিভাইসের নতুন কোনো ত্রুটি ছিল না। কিন্তু শেষ দিনে এসে আমরা একটি দাবি পাই যা শেষ পর্যন্ত সব শর্তই পূরণ করে ফেলে। তারা কেবল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করেই আইফোন হ্যাক করতে সমর্থ হয়।’ তবে কারা এই হ্যাকিং করেছে বা আইওএসে কী ত্রুটি পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি জিরোডিয়াম।
সংবেদনশীল এসব তথ্য নিঃসন্দেহেই প্রযুক্তিবিশ্বে অমূল্য হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। যে কারণে অনেক সময় প্রযুক্তি কোম্পানিরা নিজেরাই নিরাপত্তা ত্রুটি বের করতে এমন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে।
আপডেট ০৪ নভেম্বর ২০১৫ ০১:১১:৫১ পিএম
Loading...
advertisement