আপনার ওজন কম হলে ওজন বাড়ানোর কিছু টিপস দেখে নিন :
আপনার ওজন কম হলে আপনার স্বাস্থ্যের উপর এটা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। দেখা দিতে পারে রক্তশূন্যতা। তাই এখন থেকে সচেতন হোন। ওজন বাড়াতে শর্করা জাতীয় খাবার বেশী করে খান। যেমন আলু,ভাত ইত্যাদি। আলু,ভাত এগুলোতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি থাকে যা আপনাকে ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করবে।
ওজন বাড়াতে গরুর মাংসের চর্বি খেতে পারেন তবে খুব বেশি পরিমাণে নয়। গরুর চর্বি বা যেকোন ধরনের চর্বি ত্বকের জন্যও ভালো।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম আর দুধ রাখুন। সকালের নাস্তায় ডিম ওমলেট করে খাবেন। সকালের নাস্তা কখনোই মিস করবেন না।অফিস বা যেকোন কাজের চাপ থাকুক। নাস্তাটা ভালোভাবে সারুন।
যারা ওজন বাড়ারে চান তারা গরুর দুধের সর খেলে উপকার পাবেন।
ভাতের মার খেলে ওজন দ্রুত বাড়ে। এমনি খেতে না চাইলে মার সামান্য ঠান্ডা করে একটু লবন মিশিয়ে খেয়ে নিন।
ঘি-মাখন ওজন বাড়াতে সহায়তা করে তবে এগুলো খুব বেশি খাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় মনে রাখবেন।
ওজন বাড়াতে হলে অবশ্যই খাবারে পরিমিত পরিমাণ প্রোটিন রাখুন। প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাংস ,দুধ,ডিম পরিমিত পরিমাণে খাবেন।
কখনোই খাবারের প্রতি অনীহা করবেন না। দিনে অন্তত তিনবার পরিমিত পরিমাণ খান।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, ওজন বাড়ানোর জন্য আবশ্যক।
ওজন বাড়াতে কিছু ব্যায়াম আছে। সেগুলো ঠিকমতো দেখে ,শিখে নিয়মিত অভ্যাস করুন।
কম ওজনের কিছু ক্ষতিকারক দিক :
ওজন কম থাকলে আপনার ভেতর দুর্বলতা সর্বদা কাজ করবে।
মূলত কম ওজন থেকেই রক্ত শূন্যতা জন্মাতে পারে। রক্ত শূন্যতার কারণে অন্য নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
ওজন কম থাকলে ছোটদের উচ্চতা বাড়তে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
ওজন কমাতে কিছু টিপস:
এতক্ষণ তো আলোচনা করলাম কিভাবে আপনার ওজন বাড়াবেন। এবার দেখে নিন আপনার ওজন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হলে কিভাবে তা কমাবেন :
ওজন কমাতে ব্যায়ামের মতো আর কিছুই কার্যকর হতে পারে না। সকালে এবং সন্ধ্যায় ব্যায়ামের অভ্যাস করুন।
প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট হাটুন।
ফাস্টফুড এবং সফট ড্রিংক এড়িয়ে চলুন।
ওজন কমাতে হলেও দিনে তিনবার খান তবে অল্প পরিমাণ ।
গরুর মাংস, দুধের সর , ঘি-মাখন এড়িয়ে চলুন। চর্বি একদম খাবে না।
দিনে অতিরিক্ত ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিন।
প্রয়োজন হলে খাবারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। অধিক ক্যালোরিযুক্ত তেল এড়িয়ে যান।
মিষ্টি জাতীয় অবশ্যই খাবার কম খাবেন।
খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাটুন। খাওয়ার পরপরই ঘুমানো যাবেনা অথবা বসে পড়বেন না।
রাতে ঘুমানোর অন্তত দু ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন।
ভাত পরিমাণে কম খাবেন।কিন্তু বেশি করে সবজি খাবেন। ফলমূল এবং শাকসবজি বেশি পরিমাণে খেলেও কোন সমস্যা হবে না।
ভাতের বদলে আটার রুটি খেলে ওজন দ্রুত কমবে।
দুধ চায়ের পরিবর্তে গ্রীন টি খেতে পারেন। গ্রীন টি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
চিনি যত কম খাবেন ততই ভালো।
ওজন কমাতে ভেলকির মতো কাজ করবে মধু পানীয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সারার আগে হালকা কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ মধু গুলে খেয়ে নিন। দেখবেন ওজন কমতে সময় লাগবে না। তবু অবশ্যই সাথে অন্য বিষয়গুলোও খেয়াল রাখতে হবে।
অতিরিক্ত ওজনের ক্ষতিকারক দিক :
ওজন বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে।
ওজন বেশির কারণে রক্তে কোলেস্টোরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
এছাড়াও ওজন বেশি হলে কিডনি বা লিভারের ও ক্ষতি হতে পারে।
ওজন বেশি হলে আপনি অল্প পরিশ্রমেই খুব বেশি ক্লান্ত বোধ করবেন।
মূলত কম বয়সেই ডায়বেটিকস হওয়ার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত ওজন।
ওজন হতে হবে মাঝামাঝি খুব বেশিও না আবার খুব কমও না। এ ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে আপনাকেই। নিজের পর্যাপ্ত যত্ন নিন। ওজন কমাতে হঠাৎ করে ক্রাশ ডায়েটে চলে যাবেন না। আবার ওজন বাড়াতে হঠাৎ করেই বেশি খাওয়া দাওয়া ঠিক নয়। ওজন সংক্রান্ত যেকোন জটিলতায় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।