১. সপ্তাহে অন্তত ১ দিন ১ ঘণ্টা জগিং ৬ বছর পর্যন্ত আয়ু বাড়ায়। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জগিং-এর সময় অক্সিজেন গ্রহনের পরিমাণ বাড়ে যা উচ্চ রক্তচাপ কমায়। আর অক্সিজেন শরীরের রক্তের সঙ্গে মিশে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে হৃদপিণ্ড সহজেই রক্ত পাম্প করে পুরো দেহকে সতেজ রাখে। সুতরাং রক্তচাপ কমাতে জগিং করুন। যারা জগিং করতে পারেন না তারা দ্রুত হাঁটার অভ্যাস করুন। দ্রুত হাঁটা অনেকাংশে জগিং এর মতই কার্যকরী।
২. প্রতিদিন এক কাপ পরিমাণ চিনি ছাড়া বা অল্প চিনি যুক্ত দই উচ্চ রক্তচাপ প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে দেয়। দইয়ের ক্যালসিয়াম ধমনীকে নমনীয় ও প্রসারিত করে। এতে করে রক্ত কোন প্রকার বাঁধা ও চাপ ছাড়াই পুরো দেহে সঞ্চালিত হতে পারে। এতে করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমে যায়।
৩. কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা দেহের নুনের পরিমাণ ঠিক রাখে। এতে করে রক্তচাপ কমে। গবেষণা অনুযায়ী, কলার পটাসিয়াম শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে অন্তত ৫টি কলা উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যু ঝুঁকি কমায়।
৪. নুন আপনার ধমনীতে বিদ্যমান তরলের সাথে মিশে গিয়ে তরলের আয়তন বৃদ্ধি করে। এতে করে রক্ত সঞ্চালিত হওয়ার সময় ধমনীতে চাপ পরে। ফলশ্রুতিতে রক্ত চাপ বাড়ে। তাই যতটা সম্ভব নুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫. খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। একবার লক্ষ্য অনুযায়ী ওজন পৌঁছলে সীমিত আহার করা উচিত এবং ব্যায়াম অব্যাহত রাখতে হবে। ওষুধ খেয়ে ওজন কমানো বিপজ্জনক। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওজন কমানোর ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
৬. ধূমপান উচ্চ রক্তচাপের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সিগারেটের নিকোটিন দেহে প্রবেশ করে রক্তে মিশে গিয়ে অ্যাড্রেনালাইন উৎপন্ন করে। এই রসটি হার্টবিটকে দ্রুততর করে ফেলে। যার ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ধুমপান পরিহার করুন।
৭ ফলমূল, সবজি, কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, পোল্ট্রিজাত খাবার, বাদাম ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। গরু বা পাঠার মাংস, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, মিষ্টি এসব কম খাবেন।