গভীর ঘুমে নাক ডেকে দিব্যি ঘুমিয়ে চলেছেন, কিন্তু পাশে থাকা লোকটির ঘুম হারাম হচ্ছে। বিব্রতকর শব্দে কানে বালিশ চাপা দিয়েও রেহাই মেলে না। আপনার এই অভ্যাসে পাশের লোকটির কাছে দিন দিন অসহ্য হয়ে যাচ্ছেন। নাক ডাকার কারণে বেড়ে যাচ্ছে ব্যক্তির নিজের স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাছাড়া ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার অভ্যাস ব্যক্তিত্বের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই অসহ্য নাক ডাকা বন্ধে অবলম্বন করতে পারেন সহজ কিছু কৌশল।
কাত হয়ে ঘুম
যাদের নাক ডাকার অভ্যাস আছে, তারা চিৎ হয়ে না ঘুমিয়ে কাত হয়ে ঘুমাতে পারেন। চিৎ হয়ে ঘুমালে গলার পেশি শিথিল থাকে। ফলে নাক ডাকার আশঙ্কা বেশি থাকে। কাত হয়ে শুয়ার অভ্যাস এই আশঙ্কা থেকে রেহাই দেয়।
ওজন কমানো
ওজন বেশি হলে গলার পথ সরু হয়ে যায়। এর ফলে শ্বাস নেওয়ার সময় টিস্যুগুলোতে ঘর্ষণ লাগে। এতে করে শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হয়।
নেশাদ্রব্যকে না
অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য নেয়ার পরে অনেকে নাক ডাকেন। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার সময় যারা অ্যালকোহল পান করেন, তারা বেশি নাক ডাকেন। তাই নাক ডাকা বন্ধে নেশাদ্রব্যকে না বলুন।
উঁচু বালিশে ঘুমানো
মাথার নিচের বালিশটি উচু হলে অনেক সময় নাক ডাকা বন্ধ হয়। বালিশ উঁচুতে থাকলে বুকের চেয়ে মাথা উঁচুতে থাকে। এতে করে নাক ডাকার আশঙ্কা কিছুটা কমে যায়।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিৎ। এতে করে ঘুমের সঙ্গে শরীরে এক ধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। ফলে অভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়।
শরীরচর্চা
শরীরচর্চা করলে পেশি, রক্তের চলাচল ও হৃদপণ্ডের স্পন্দন বাড়ে। শরীরচর্চা করলে ঘুমও ভালো হয়। এতে করে নাক ডাকা কমতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি।
পানি পান
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান কররে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে। নাক ডাকাও কমবে। ঘুমের দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিৎ। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।