কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে। সোমবার ফের একবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া। যার ফলে আবারও উত্তেজনা ছড়াল গোটা পূর্ব এশিয়ায়। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আতঙ্কে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলি। এদিন, পার্লামেন্টে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি পিয়ংইয়ং-এর এই পদক্ষেপের নিন্দা করে বলেছেন, এটি খুবই সাঙ্ঘাতিক ঘটনা। এর ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জের আইন লঙ্ঘিত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন মোট চারটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশের উত্তর পিয়ংগান প্রদেশের টঙচ্যাং-রি থেকে ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ১০০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে জাপান সাগরে পড়েছে। ওই স্থানটি আবার জাপান সীমান্তের খুব কাছেই এবং সে দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। যে কারণে চরম উদ্বেগে প্রকাশ করেছে জাপান সরকার। গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। আর সেটা যে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ভালভাবে নেননি, এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ থেকেই সেটা স্পষ্ট। যদিও সিওল এবং ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এটি কেবল বার্ষিক মহড়া। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকেও উত্তর কোরিয়ার এই কাণ্ডের নিন্দা করা হয়েছে। অন্তর্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়াং কিও-আনও সোমবার বলেছেন, ‘এই ঘটনাটির মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কিম জং ন্যামের মৃত্যুর ভয়াবহতাই প্রমাণ করে দেয় কিম জং উন সরকারের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকাটা গোটা বিশ্বের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর?’
গোটা বিশ্ব এমনকী রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বহুদিন ধরে পরমাণু অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছে উত্তর কোরিয়া। কিম জং উনের মূল লক্ষ্যই হল আমেরিকায় আঘাত হানতে পারে এরকম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আন্তঃমহাদেশীয় এবং সহজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে এই নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে চায়নি মার্কিন সেনা এবং গোয়েন্দা আধিকারিকরা। গোটা ঘটনাটি আপাতত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে।