হাইড্রোজেন বোমাসহ থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা তৈরির মৌলিক উপাদান ট্রিটিয়াম তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। এতে দ্বিতীয় প্রজন্মের পরমাণু বোমা হিসেবে হিসেবে পরিচিত হাইড্রোজেন বোমা দেশটির অস্ত্রাগারে সংযুক্ত হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রিটিয়াম নামে পরিচিত তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হাইড্রোজেন-৩ উৎপাদনের সক্ষমতা দেখিয়েছে পিয়ংইয়ং। স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিগফ্রেইড হ্যাকার এ কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহ্যাপ সংবাদ সংস্থাকে। হাইড্রোজেন বোমা তৈরির একীভূতকরণ বা ফিউশন প্রক্রিয়া সৃষ্টিতে ট্রিটিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান তিনি। ফলে এ উপাদান তৈরির সক্ষমতা অর্জন করতে পারলে হাইড্রোজেনের মতো থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা তৈরি সম্ভব বলে জানান তিনি।
অবশ্য, গত বছর হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর দাবি করেছিল উত্তর কোরিয়া। কিন্তু জাতিসংঘ বলেছিল, একটি পরমাণু বোমার বিস্ফোরণই ঘটিয়েছিল দেশটি। অন্যদিকে আমেরিকা বলেছিল, যতোটা শক্তিশালী বলে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে বোমাটি প্রকৃতপক্ষে ততোটা শক্তিশালী নয়।
জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে আমেরিকা যে আণবিক বোমা ফেলেছিল সেগুলো প্রথম প্রজন্মের আণবিক বোমা হিসেবে পরিচিত। এ বোমায় একটি মাত্র বিস্ফোরণ ব্যবস্থা ছিল। দ্বিতীয় প্রজন্মের বোমায় রয়েছে দু’টি বিস্ফোরণ ব্যবস্থা এবং এতে ধ্বংস ক্ষমতা বেড়ে যায় কয়েকগুণ বেশি। হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণে লক্ষ লক্ষ ডিগ্রি তাপমাত্রার সৃষ্টি হয়।