এইমাত্র পাওয়া

  • কাপ জিতেই ছাড়ব, জন্মদিনে শপথ মেসির
  • প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুলাইয়ে, থাকছে ৬০% নারী কোটা
  • ঝালকাঠিতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা’র দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
  • ঝিনাইদহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
  • দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
  • ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?
  • ওজন কমাবে কালো জিরা
  • হলুদ দাঁতের সমস্যা সমাধান করুন নিমিষেই
  • কিশিমিশের পানি খেলে যে উপকার পাবেন
Updated

খবর লাইভ

২ লাখ ৯০ হাজার মানুষও বাঁচাতে পারলো না কুকুরটিকে!

20 April 2018 08:45:35 235342505 ভোট:5/5 1 Comments
Star ActiveStar ActiveStar ActiveStar ActiveStar Active
২ লাখ ৯০ হাজার মানুষও বাঁচাতে পারলো না কুকুরটিকে!

একসঙ্গে জড় হয়েছিলেন ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ। উদ্দেশ্য, একটি কুকুরকে বাঁচানো। স্থান জার্মানি। কিন্তু জার্মানির নগর প্রশাসন সিদ্ধান্তে অটল, তাই বাঁচানো গেল না কুকুরটিকে!

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউথ্যানশিয়া মানে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু। আর সেই মৃত্যুই বরণ করতে হয়েছে জার্মানির হানোফার শহরের একটি কুকুরকে। অপরাধ, সে তার মনিব এবং মনিবের সন্তানকে হত্যা করেছে।

জানা গেছে, স্ট্যাফোর্ডশায়ার টেরিয়ার প্রজাতির কুকুরটির নাম ছিল চিকে। বন্ধ ফ্ল্যাটে সে তার মালিক ও মালিকের ছেলেকে মেরে ফেলে। মৃতদেহ পরীক্ষার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে চিকোকে যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ঘোষণা দেয় হানোফার কর্তৃপক্ষ।

জার্মানির নগর কর্তৃপক্ষের তরফে ইউডো মোলার জানান, কুকুরটির হিংস্রতার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়াটাই শ্রেয়। কারণ, হেফাজতে রাখার সময়েও দেখা গেছে যে, কুকুরটির মধ্যে সামাজিকভাবে মেলামেশার প্রবণতা খুব কম।

উল্লেখ, এক মাস আগে জার্মানির একটি বন্ধ ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে ৫২ বছরের একজন নারী ও তার ২৭ বছরের ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জানালা থেকে নারীর মেয়ে তার ভাইয়ের প্রাণহীন দেহ দেখতে পায় এবং পুলিশকে ব্যাপারটা জানায়। এরপর ফ্ল্যাট ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় দু’জন মরে পড়ে আছে।

গত শুক্রবার মৃতদেহ পরীক্ষার পর জানা যায়, ঐ দু’জনের মৃত্যুর জন্য চিকোই দায়ী। তারপরেই চিকোর জন্য যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করার কথা ভাবেন হানোফার প্রশাসন। কিন্তু পশুপ্রেমীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। চিকোর প্রাণ রক্ষার অনুরোধ সম্বলিত ২ লক্ষ ৯০ হাজার দরখাস্ত জমা পড়ে নগর কর্তৃপক্ষের কাছে। দরখাস্তগুলোতে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ড নয়, চিকোকে স্বাধীন পশুচিকিৎসকের হাতে তুলে দেওয়া হোক৷ চিকোর মৃত্যু কাম্য নয়।

চিকোই তো এমন একমাত্র কুকুর নয় যে এমন করেছে। এর আগে গত সপ্তাহে স্ট্যাফোর্ডশায়ার টেরিয়ারের মিশ্র জাতির একটি কুকুরের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠেছিল। ৭ মাসের একটি শিশুহত্যার দায়ে সেই কুকুর এখনো হেফাজতে। অবশ্য চিকোর জীবন আর দীর্ঘ হয়নি। হানোফার প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে, অর্থাৎ চিকো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।

Loading...
advertisement
সর্বশেষ সংবাদ
এ বিভাগের সর্বশেষ