ওজন কমানোর জন্য কত কী করছেন ৷ কখনও জিমে ছুটছেন ৷ কঠিন ডায়েট করছেন ৷ ওষুধ খাচ্ছেন ৷ লোকে যা বলছেন তা করছেন ৷ কিন্তু ওজন কমার বদলে, বেড়েই যাচ্ছে ! কিন্তু জানেন কি? আপনার রান্না ঘরে এমন একটা জিনিস রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে ওজন কমতে বাধ্য ! আর তা হল গাজর !
একটি বড়মাপের গাজর থেকে ২২ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে, ১০০ গ্রাম গাজরে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট-১০ দশমিক ৬ গ্রাম, প্রোটিন শূন্য দশমিক ৯ গ্রাম, ফ্যাট শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, আঁশ ১ দশমিক ২ গ্রাম, নিকোটিনিক এসিড শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ৩১৫০ আইইউ, ক্যালসিয়াম ৮০ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ১০৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, লোহা ১ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম, থায়ামিন দশমিক শূন্য ৪ মিলিগ্রাম।
গাজর সিদ্ধ করে, কাঁচা কিংবা স্যালাড করে যেভাবে খুশি খেতে পারেন আপনি। তবে স্যালাড বানিয়ে খাওয়ার সময় অবশ্যই মেয়োনিজ, তেল অথবা জলের ব্যবহার করবেন না। শুধুমাত্র গাজর, লেবুর রস, ধনে পাতা, কাঁচা লঙ্কা বা গোল মরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।
এই ৪দিন গাজর, গ্রিন টি আর জল ছাড়া কিছুই খেতে পারবেন না আপনি। খুব বেশি স্বাদ পরিবর্তন করতে ইচ্ছে করলে এক বেলা গাজরের সাথে আপেল মিশিয়ে স্যালাড করে খেতে পারেন। গাজরের ডায়েট চলাকালীন সময়ে সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ লিটার করে জল খেতে হবে। জল কম খেয়ে শরীরে জল শূন্যতা দেখা দেবে এবং শরীরে সতেজতা থাকবে না। তাই ডায়েটের পাশাপাশি প্রচুর জল পান করুন।
ডায়েট চলাকালীন সময়ে চা খেতে হলে গ্রীন টি পান করুন। গাজর খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। গাজরের খোসা ছাড়িয়ে নিন সম্ভব হলে। কারণ ইদানিং সবজিতে নানান রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। ডায়েট চলাকালীন সময়ে জল খাওয়া কমাবেন না। কোনো অসুখ থাকলে বা ওষুধ সেবন করতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডায়েট করবেন না। এই ডায়েট ৪ দিন বা খুব বেশি হলে ৫ দিন পর্যন্ত করুন। এক মাসে একবারই করতে পারবেন এই ডায়েট। ডায়েট চলাকালীন সময়ে জিম কিংবা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করবেন না।