সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ভারতের একজন সেনা ধরা পড়েছে এবং কয়েকজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন এ খবর দিয়েছে। তবে আটক সেনার বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তান সরকারের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দেয়ায় বিষয়টি নিয়ে সংশয় অব্যাহত রয়েছে।
নয়াদিল্লি থেকে ভারতের একজন সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, “এটি নিশ্চিত যে, ৩৭ রাষ্ট্রীয় রাইফেলের একজন সেনা অস্ত্রসহ ভুল করে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে পড়ে।” বৃহস্পতিবারের গোলাগুলির সঙ্গে এ ঘটনার কোনা সম্পর্ক আছে কিনা তা এড়িয়ে গিয়ে এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, বেসামরিক নাগরিকসহ আগেও দুপক্ষের মধ্যে ভুল করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের পক্ষ সমর্থন করে এ সেনা কর্মকর্তা আরো বলেন, যারা পথ ভুলে পকিস্তানে ঢুকে পড়েছে তারা পরে আবার ফিরেও এসেছে।
ভারতীয় সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এএনআই নিউজ বলেছে, ডিজিএমও হটলাইনের মাধ্যমে পাকিস্তানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পক্ষে চাম্ব সেক্টরের দু জন কর্মকর্তা বলেছেন, স্থানীয় সময় বৃস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ভারতীয় সেনাকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এছাড়া, নিরাপত্তা বাহিনীও ভারতীয় সেনা আটকের খবর ডন পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো বলেছে, ২২ বছর বয়সী ভারতের সেনা চান্দু বাবুলাল চৌহানকে পাকিস্তানি বাহিনীর হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এসব সূত্র বলেছে, ভারতের অন্তত আট সেনা নিহত হয়েছে। তবে ভারতীয় সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ থেকে সেনাদের লাশ উদ্ধার করে নি। নিরাপত্তা সূত্রগুলো দাবি করছে, লাশ উদ্ধার করতে গেলে পাকিস্তানের সেনাদের গুলির মুখে পড়তে হতে পারে সে আশংকায় ভারতীয় সেনারা লাশ উদ্ধার করতে যায় নি।
জিও নিউজের একটি টক শো-তে সাংবাদিক হামিদ মীর বলেছেন, দুটি সেক্টরে ভারতের ১৪ জন সেনা নিহত হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) ইজাজ আওয়ান সাংবাদিক হামিদ মীরের এ দাবি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন পত্রিকা বলেছে, ভারতীয় সেনা আটকের খবর অস্বীকার করেছে সামরিক বাহিনী। পত্রিকাটি আরো বলছে, ভারতীয় সেনা আটকের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর তা নাকচ করে।