স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে যৌন সম্পর্ক করতে অস্বীকার করলে স্বামী যদি ডিভোর্স চান, তাহলে সেই মামলা গৃহীত হবে। এ কথা জানিয়েছেন ভারতের দিল্লি হাইকোর্ট। তবে রয়েছে শর্তও। কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই স্ত্রী যদি যৌন সম্পর্ক না করেন, তবেই মামলাটি বিবেচনাধীন হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি প্রদীপ নান্দ্রাযোগ ও প্রতিভা রানির বেঞ্চ।
দিল্লি হাইকোর্টের কাছে ডিভোর্সের আবেদন করেন এক ব্যক্তি। আদালতের কাছে আবেদনে তিনি জানান, গত সাড়ে চার বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করছেন না স্ত্রী। ফলে তিনি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন।
স্বামীর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেননি স্ত্রী। যদিও আগে নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ তিনি মানেননি। ফলে নিম্ন আদালত ওই ব্যক্তির ডিভোর্সের মামলাটি গ্রহণ করেনি। তারপরই ওই ব্যক্তি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
ডিভোর্সের মামলাটি গ্রহণ করে বিচারপতি প্রদীপ নান্দ্রাযোগ ও প্রতিভা রানির বেঞ্চ জানায়, আমরা আবেদনের ভিত্তিতে এটা বুঝতে পারছি যে, একই ছাদের তলায় বসবাস করেও দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই যৌন সম্পর্ক করতে অস্বীকার করেছেন তার স্ত্রী। যার ফলে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে।
ওই ব্যক্তি আদালতের কাছে দায়ের করা তার আবেদনে অভিযোগ করেছেন, ২০০১ সালের ২৬ নভেম্বর হরিয়ানায় তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। ২০১৩ সালে তিনি প্রথম নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তখন স্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তার আরও অভিযোগ, শুধু তার সঙ্গেই নয়, পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন স্ত্রী। ফলে তারাও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন।
সূত্র - কালের কণ্ঠ