২০১৪-১৫ মৌসুমে ওয়ানডে ক্রিকেটে বিস্ময়কর উত্থানের পরও বাংলাদেশকে ১১ মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে নামতে হবে। আর টেস্ট ক্রিকেট তো ভুলতে বসেছে মুশফিকরা। তার উপর আইসিসির প্রস্তাবিত দ্বিস্তর কাঠামো বাস্তবায়িত হলে বড় দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হারাবে বাংলাদেশ।
সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে ফর্ম ধরে রাখা ও টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি স্পষ্টত হুমকির মুখে। আর এই ইস্যুতে ক্রিকেটের অভিভাবক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) কোন মাথাব্যথা নেই।
বরং ২০১৬-১৭ মৌসুমের আইসিসি ফিউচার টুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) দেখলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশকে ভিন্ন চোখেই দেখছে সংস্থাটি।
২০১৬-১৭ মৌসুমে যেখানে ভারত ১৭, পাকিস্তান ১৫, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ১৪, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ এবং শ্রীলংকা ৮টি টেস্ট খেলবে, সেখানে বাংলাদেশের ভাগ্যে আছে মাত্র পাঁচটি টেস্ট।
এদিকে চলতি বছরের সাত মাস চলে গেলেও এখনও টেস্ট কিংবা ওয়ানডে খেলা হয়ে ওঠেনি টাইগারদের। অথচ র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পেছনে থাকার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭টি, পাকিস্তান ২টি এবং জিম্বাবুয়ে ৬টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে।
এমনকি গত মৌসুম থেকেই অনেকের চেয়ে কম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে আসছে মাশরাফিরা। আগামী মৌসুমেও একই অবস্থার সম্মুখীন হবে টাইগাররা।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাইরে মাত্র ১০টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে আগামী মৌসুমে ইংল্যান্ড ২৪টি, নিউজিল্যান্ড ২০টি, অস্ট্রেলিয়া ১৬টি, পাকিস্তান ১৯টি, শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে।
অথচ সম্প্রতি বাংলাদেশ পারফর্মেন্সের কারনে বড় দলগুলো কিংবা আইসিসি টিভি সত্ত্বের ব্যাপারেও অজুহাত দেখাতে পারবে না ।
তার প্রমান পাওয়া যায় টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচে। বিদেশের মাটিতে গ্যালারী ভর্তি দর্শক ও ব্যাপক উম্মাদনাই বলে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের মামুলী দল নয়।
বাংলাদেশ দল আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে ১৪ মাস পর টেস্ট খেলতে নামবে। ওয়ানডে খেলবে ১১ মাস পর। অথচ দলটি গত বছর ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিন আফ্রিকার মত দলকে দাপটের সাথে হারিয়েছে।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট দলটি গতবছর দুর্দান্ত ধারাবাহিকতায় নিশ্চিত করে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। চলতি বছরের শুরুতে টি-টুয়েন্টির এশিয়া কাপে রানার্সআপ দলটি কিছুটা হলেও অন্য দলগুলোর সম্মান ও আইসিসির পৃষ্ঠপোষকতা যোগ্য দাবিদার।