কাল ভ্যালেন্টাইনডে অনেকেই কাল বের হবেন সাড়ি পরে, কিন্তু এই আধুনিক জীবনে আমরা অনেকেই ঠিক মত শাড়ি পড়তে পাড়ি না। তবুও এমন দিনে শাড়ি না হলেই জেনো না। তাই আজ আপনাদের দেখাবো কি করে নির্ভুল ভাবে শাড়ি পরবেন।
শাড়ী পরার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখাটা খুবই জরুরী‚ তা না হলে আপনার সাজটাই হতে পারে মাটি । শাড়ি পরার সময় নীচের পয়েন্টগুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন
সঠিক জুতো/জুতা নির্বাচন পরুন : শাড়ির সঙ্গে কখনো প্ল্যাটফর্ম হিল বা ওয়েজেস পরবেন না । আবার একদম ফ্ল্যাট চটি জুতাও ভালো দেখায় না । তাই সব সময় চেষ্টা করুন হাই হিল পরার ।
ভারি জুয়েলারি / অলঙ্কার এড়িয়ে চলুন : অনেকেই শাড়ি পরলে গা ভর্তি গয়না পরে ফেলেন ।এই সময় আপনাকে গয়নার দোকান ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না । শাড়িতে যদি ভারী এমব্রয়ডারি কাজ থাকে তাহলে যতটা পারবেন অল্প গয়না পরার চেষ্টা করুন ।
বেশি এক্সপেরিমেন্ট থেকে বিরত থাকুন : অনেক রকম ভাবেই তো শাড়ি পরা যায় , কিন্তু যেভাবে আপনি শাড়ি পরতে অভ্যস্ত সেই ভাবেই শাড়ি পরা উচিত । হঠাৎ করে একদিন এক্সপেরিমেন্ট করে কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে অন্য ভাবে শাড়ি পরা কিন্তু একেবারেই বুদ্ধিমানের কাজ নয় ।
অবশ্যই উপলক্ষ বুঝে শাড়ি নির্বাচন করুন : এই ভুলটা যেন আমরা সবাই করে থাকি। অনেক শাড়ির মধ্যে প্রিয় শাড়িটি আমরা যে কোন উপলক্ষে পরে ফেলি। ফর্মাল কোন উপলক্ষে ভারি কাজ করা শাড়ি না পরাই ভালো। আবার অফিস পার্টিতে নেটের সি থ্রু শাড়ি একেবারেই ‘আ স্ট্রিক্ট নো নো ‘ ।
বেশি বেশি সেফটি পিন লাগাবেন না : যারা শাড়ি পরতে অভ্যস্ত নন‚ তাদের জন্য শাড়ি ম্যানেজ করা একটু অসুবিধার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় । নিরুপায় হয়ে তাই চারিদিকে সেফটি পিন লাগিয়ে শাড়ি ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। এটা না করাই ভালো‚ আর যদি একাধিক পিন লাগান তাহলে লক্ষ রাখবেন তা যেন শাড়ির ফাঁকে লুকোনো থাকে।
সঠিক মাপের ও কালারের ব্লাউজ পরুন : যত টেম্পটিংই হোক না কেন টাইট ব্লাউজ ভুলেও পরবেন না। আর যদি পিঠ খোলা স্ট্রাপলেস ব্লাউজ পরতে চান তাহলে আপনার ফিগার ও সেই ভাবে তৈরি করুন। আবার বেশি লুজ ফিটিং ব্লাউজও পরবেন না ।
সঠিক পেটিকোট নির্বাচন করুন : শাড়ীর সাথে কুঁচি দেওয়া শায়া পরবেন না‚ এই ধরনের পেটিকোটে আপনাকে বেশ মোটা দেখাবে । এছাড়াও এই ধরণের শায়া পরলে শাড়ি ম্যানেজ করাও খুব কঠিন হয়ে যায় ।এবং ফিটেড পেটিকোট পরুন ।