ক্যাস্টর ওয়েল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রিসিনোলেইক এসিড নামে একটি উপাদান থাকে যা ...শুধু ক্যাস্টর অয়েল এবং এক জাতের ফাংগি তে পাওয়া যায়। নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে এর কার্যকারীতা বহু পরীক্ষিত। পাশাপাশি ক্যাস্টর অয়েল শুস্ক চুলের রুক্ষতাও দূর করে। ফল পাবার জন্য সপ্তাহে একবার করে কমপক্ষে দুইমাস ব্যবহার করতে হবে। রাতে ঘুমাবার আগে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব না হলে, মাথায় লাগিয়ে ১০ মিনিত ম্যাসাজ করে কমপক্ষে দুই ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। আরো ভালো ফল পাবার জন্য, একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে ভিতরের তরল টা মিশিয়ে নিন।শুধু মাথার চুল নয়, যারা চোখের পাপড়ি ঘন করতে চান তারা প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় দুই-তিন ফোটা চোখের পাপড়িতে ব্যবহার করুন। সতর্কতাঃ ক্যাস্টর অয়েল, মধুর মত ঘন। তাই চটচটে ভাবের কারণে কারো কারো অস্বস্তি হতে পারে। ক্যস্টর অয়েল এর মধ্যে রিসিন নামে একটি পদার্থ থাকে যা পেটে গেলে ক্ষতি হয়। বোতলে ভরার আগেই পরিশোধনের মাধ্যমে রিসিন নির্মুল করে ফেলা হয়। তারপর ও অতিরিক্ত সতর্কতার কারণ, চুলে ব্যবহারের জন্য তৈরী বোতলের ক্যাস্টর অয়েল মুখ থেকে দূরে রাখুন। রিসিন নির্মূল করে, ক্যাস্টর অয়েল বিভিন্ন বোতলজাত খাদ্যে প্রিজারভেটিভ হসেবে ব্যবহার করা হয়।
Castor oil এর ব্যবহারবিধি –
– শুধুমাত্র ক্যাস্টর অয়েল হাতে তালুতে নিয়ে চুলের গোঁড়ায়, মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসেজ করার অভ্যাস অনেকটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
– তবে লক্ষ্য রাখবেন অতিরিক্ত তেল ব্যবহার যাতে না করা হয়। কারণ ক্যাস্টর অয়েল অন্যান্য তেলের তুলনায় অনেক বেশী ঘন থাকে যা ধুয়ে ফেলতে কষ্ট হবে।
– সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন যদি সারা-রাত ক্যাস্টর অয়েল castor oil চুলে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন ক্যাস্টর অয়েল।
– কুসুম গরম পানি দিয়ে প্রথমে চুল ধুয়ে নিন ভালো করে। লক্ষ্য রাখবেন যেন পানি বেশী গরম না হয়ে যায়। ২ ভাগ সাধারণ পানির সাথে ১ ভাগ গরম পানি মিশিয়ে নিন সঠিক তাপমাত্রার জন্য। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
– প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো ফলাফল পাবেন। কিন্তু যদি হাতে সময় না থাকে তাহলে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহারের চেষ্টা করুন।