মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। ঢাকা টেস্টে ২২ রানে জয় পাওয়া স্বাগতিক বাংলাদেশ সিরিজে এগিয়ে আছে ১-০ ব্যবধানে। ফলে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্ট এখন বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের লড়াই। অন্যদিকে সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে জয়ের কোন বিকল্প নেই শক্তিশালি অজিদের সামনে। সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় আর শেষ টেস্টের প্রথম দিনের শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৩ রান। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দল নেমেছে একটি পরিবর্তন নিয়ে। দলে এসেছেন মুমিনুল হক। বাদ পড়েছেন ঢাকা টেস্টে খেলা শফিউল। ফলে এই টেস্টে বাংলাদেশ দলে পেসার শুধু মোস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া দলে পরিবর্তন হয়েছে দুটি। ইনজুরির শিকার খাজা উসমান এবং হ্যাজল উড বাদ পড়েছেন। আর দলে স্থান পেয়েছেন হিলন্ট কাটরাইট আর স্টিভ ও কিফি। চট্টগ্রামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টসে জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। টসে জিতে তিনি ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল অস্বস্তি। দলীয় ১৩ রানেই দলের অন্যতম ভরসা তামিম ইকবালকে হারায় বাংলাদেশ। তামি আউট হন ব্যক্তিগত ৯ রানে। তাকে এলবির ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান নাথান লিওন। শুরু থেকেই কিছুটা নড়বড়ে তামিম প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। জীবন পেয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৪ রানে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। তাকেও এলবির ফাঁদে ফেলেছেন লিওন। ২১ রানে ২ উইকেট হারাবার পর মুমিনুল হক আর সৌম্য সরকারের গড়েছিলেন প্রতিরোধ। তারা দুইজন যোগ করেন ৪৯ রান। কিন্তু লাঞ্চের ঠিক আগে সৌম্য আবারও পা দেন লিওনের এলবির ফাঁদে।
আউট হন ৩৩ রানে। ৮১২ বলের ইনিংসে সৌম্য চার মেরেছেন দুইটি আর ছক্কা একটি। ফলে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান তুলে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পরেই বিদায় নেন মুমিনুল। তিনি করেছেন ৬৭ বলে ৩১ রান। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ভরসা মুমিনুলকেও এলবির ফাঁদে ফেলেন লিয়ন। ৮৫ রানে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশের সব উইকেট নেন লিয়ন। সেটাও এলবি করে। মুমিনুলের পর সাকিবের বিদায় ২৪ রান করে। এস্টন এগারের বলে উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। এরপরেই অধিনায়ক মুশফিক আর সাব্বির রহমানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুজনেই তুলে নিয়েছেন হাফ-সেঞ্চুরি। তারা দুইজন ষষ্ট উইকেটে যোগ করেন ১০৫ রান। সাব্বির রহমান আউট হলে ভাঙ্গে মুশফিকের সাথে তার অসাধারণ জুটি। সাব্বির করেছেন ৬৬ রান। ১১৩ বলের ইনিংসে তিনি মেরেছেন ছয়টি চার। দিনের দ্বিতীয় ছক্কাও এসেছে সাব্বিরের ব্যাট থেকে।
সাব্বিরকে রহমানকে আউট করে প্রথম দিন নিজের পঞ্চম উইকেট পকেটে ভরেছেন নাথান লিয়ন। এবার অবশ্য আর এলবি নয় , কিপার ওয়েডের ক্যাচ বানিয়েছেন তিনি সাব্বিরকে। এরপর দিনের বাকি সময়টা নাসির হোসেনকে নিয়ে পার করেছেন মুশফিক। দিন শেষে অধিনায়কের ব্যাটেই বাংলাদেশ পাচ্ছে ভরসা। মুশফিক অপরাজিত আছে ১৪৯ বলে ৬২ রান করে। তিনি মেরেছেন পাঁচটি চার। মুশফিকের সাথে ৩৩ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত আছেন নাসির। তার ব্যাট থেকে এসেছে তিনটি চার।