অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে সুযোগ পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করা পেসার তাসকিন আহমেদ বলেছেন, সুযোগ পেলে বল হাতে ম্যাচ জেতানো স্পেল করতে চান। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট তাসকিনের কাছে স্বপ্নের উইকেট বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের প্রত্যেকটি উইকেটই গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার টপঅর্ডারে যারা আছেন সবাই খুব ভালো ফর্মে আছে। অভিজ্ঞরা তো আছেই। নতুনরাও ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। আমার স্বপ্নের উইকেট ওয়ার্নার-স্মিথ । আমি সুযোগ পেলে একটা ম্যাচ উইনিং স্পেল করতে চাই।’ সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মতই এখন টেস্ট ক্রিকেটেও পেসারদের মধ্যে ভালো প্রতিযোগিতা আছে। তারপরও বাংলাদেশ দলে আছে তিন পেসার। তাসকিন তাদের একজন হতে পেরে খুশি। ডানহাতি এ পেসার বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ এখন অনেক ভালো পারফরমার আছে। কিন্তু টেস্টের স্কোয়াডে থাকার মতো ব্যাপারটা শান্তি পাওয়ার মতো। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দলে থাকতে পেরে আনন্দিত এবং ভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে।’ অজিদের পেস আক্রমণে রয়েছে জস হ্যাজেলউড, জ্যাকসন বার্ড ও প্যাট কামিন্সের মতো ফাস্ট বোলার।
অন্যদিকে বাংলাদেশের পেস বিভাগে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম ও তাসকিন। পেস আক্রমণের দিক থেকে আসন্ন টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকেই এগিয়ে রাখলেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘ওদের তুলনায় আমরা পিছিয়ে। তবে আমরা আগের চেয়ে ভালো। দীর্ঘ অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় এসেছি। রিভার্স সুইং বলেন বা সুইং বলেন সব কিছু নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি আগে যা করতে পারিনি এখন আমরা তা পারবো।’ ক্যারিয়ারে চার টেস্ট খেলে সাত উইকেট শিকার করা ২২ বছর বয়সী এ তরুণের চোখে, টেস্ট ক্রিকেট অনেক কঠিন। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, আমি বেশি টেস্ট খেলিনি। চারটা ম্যাচ খেলে আমার মনে হয়েছে এই ফরম্যাট অনেক কঠিন। আগে তো শুধ্ ুওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলতাম। এখন টেস্টও খেলছি। টেস্টে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হয়। চেঞ্জ অব পেস দরকার আছে। আশা করি পরিস্থিতি অনুসারে আমরা খেলতে পারবো।’ এছাড়া টেস্ট দলে মুমিনুল হক ফেরায় আনন্দিত তাসকিন। তবে চোখের ব্যথার কারণে বাদ পড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। তরুণ এ ক্রিকেটার বলেন, ‘মুমিনুল ভাইয়ের ফিরে আসাটা আনন্দের ব্যাপার। আবার মোসাদ্দেকের না থাকাটা দুঃখজনক। চোখের অসুস্থতার কারণে সে খেলতে পারলো না। অর্থাৎ আনন্দ যেমন হচ্ছে, আবার খারাপও লাগছে।’