লজেন্সে নাকি রয়েছে ‘ড্রাগ’! অজান্তে যা লজেন্স ভেবে খেয়ে ফেলছে পড়ুয়ারা। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে তারা। শরীরের এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা হচ্ছে যে, হাসপাতালে আনতে হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।
এমনই খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। হোয়াটসঅ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়া এই খবর আরও চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে তাঁদের। মূলত হোয়াটসঅ্যাপের বিভিন্ন গ্রুপে ক’দিন ধরেই ঘুরছে এই বার্তাটি। বিষয়টি সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক এবং সচেতন করা হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়। এই সচেতনবার্তাটি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে ওই প্রচারে বলা হচ্ছে।
যদিও ব্যুরোর পক্ষে জানানো হয়েছে, এমন কিছু বার্তা তারা প্রচার করেনি। মোড়কের ভেতর থাকা ড্রাগ মেশানো এই লজেন্সটির নাম ‘স্ট্রবেরি কুইক’। মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গলে যাচ্ছে। শুধু নাম নয়, লজেন্সটার গন্ধও স্ট্রবেরির মতো। এটাই স্কুলের পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে। তারা এটা লজেন্স ভেবেই নিচ্ছে এবং খেয়ে ভয়ঙ্কর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শোচনীয় অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। শুধু স্ট্রবেরি নয়, এই ড্রাগ চকোলেট, পিনাট বাটার, কোলা, চেরি, আঙুর, কমলার স্বাদ ও গন্ধে তৈরি বলেও প্রচার করা হচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপে আসা ওই বার্তায় গোটা বিষয়টি জানিয়ে বারবার অভিভাবকদের এটাই বলা হচ্ছে যে, তাঁরা যেন তাঁদের সন্তানদের এ ব্যাপারে সর্তক করেন। ভুল করেও তারা যেন স্কুলে অপরিচিত কারও কাছ থেকে লজেন্স না নেয়। শুধু অপরিচিতই নয়, বন্ধুবেশী এমন কেউ, যে তাদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, এটা লজেন্স, তার কাছ থেকেও যেন লজেন্স জাতীয় কোনও কিছু না নেয় বা খায়। যদি কোনও পড়ুয়া এই লজেন্স নিয়েও নেয় সে যেন সঙ্গে সঙ্গে তা স্কুলের অধ্যক্ষ বা শিক্ষককে জানায়।