২০১৩ ও ২০১৫ সালের পর ফের ২০১৭ সালে এসে আইপিএল জিতে নিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসে ১ রানে হারিয়ে তৃতীয়বার আইপিএল ঘরে তুলল রোহিত শর্মার দল। এদিন হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নামেন লেন্ডল সিমন্স ও পার্থিব প্যাটেল। তবে শুরু থেকেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে পুনের বোলাররা। ফের একবার অনবদ্য বোলিং করে শুরুতেই দুটি উইকেট তুলে নেন জয়দেব উনাদকাট। পার্থিব (৪) ও সিমন্স (৩) আউট হন বোর্ডে ৮ রান উঠতে না উঠতেই। এরপরেও পুনের বোলিংয়ের ঝাঁঝ কমেনি। মাঝে অম্বাতি রায়াডু (১২) ও রোহিত শর্মা (২৪) ছোট পার্টনারশিপ গড়েন। তবে দুজনে ফিরতেই ফের একবার মুম্বাই ব্যাটিং নড়বড়ে হয়ে যায়। ক্রুণাল পাণ্ড্য একদিক ধরে থাকলেও অন্যদিকে কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। কায়রন পোলার্ড (৭), হার্দিক পাণ্ড্য (১০) করণ শর্মা (১) কেউ ক্রুণালের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়তে পারেননি।
তবে নবম উইকেটে মিচেল জনসনের (১৩ রানে অপরাজিত) সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৫০ রান যোগ করেন ক্রুণাল। এবং ইনিংসের শেষ বলে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন। ফলে সবমিলিয়ে ৮ উইকেটে ১২৯ রানে শেষ করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জবাবে ফাইনাল ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে পুনেও অত্যন্ত ধীরগতির শুরু করে। মুম্বাই বোলারদের আঁটোসাঁটো বোলিং পুনের কাজ কঠিন করে দিয়েছিল। দলের ১৭ রানের মাথায় রাহুল ত্রিপাঠীর (৩) উইকেট হারায় পুনে। এরপরে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন অজিঙ্ক রাহানে। তিনি ৪৪ রান করে ফিরলে ইনিংস টানতে থাকেন স্মিথ। এদিন মনোজ তিওয়ারির জায়গায় নামেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এবং ধীরে ধীরে স্মিথের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়তে থাকেন। শেষ ৫ ওভারে করতে হতো ৪৭ রান।
এই অবস্থায় ১৬তম ওভার করতে আসেন ক্রুণাল পাণ্ড্য। তার ওভারে ১৪ রান নেন ধোনি ও স্মিথ। ধোনি একটি চার মেরে স্মিথকে দেন। স্মিথ রিভার্স সুইপ মেরে ছক্কা হাঁকান। ফলে শেষ ৪ ওভারে করতে হতো ৩৩ রান। এবারে বল করতে আসেন জসপ্রীত বুমরাহ। এবং দ্বিতীয় বলেই আউট করেন ধোনিকে (১০)। এরপরে নামেন মনোজ তিওয়ারি। সেইসময়ে মুম্বাই ফের একবার ম্যাচে জাঁকিয়ে বসে। বুমরাহ ও মালিঙ্গা অনবদ্য ডেথ ওভার বোলিং পুনের কাছ থেকে ম্যাচ প্রায় ছিনিয়ে নিচ্ছিল। তবে তখনও ক্রিজে ছিলেন স্মিথ। কিন্তু তিনি সেভাবে বড় হিট মারতে পারছিলেন না। তবে তিনি সিঙ্গলস নেওয়া বন্ধ করেননি। ১৯তম ওভারে বুমরাহকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন স্মিথ।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। বল করতে আসেন মিচেল জনসন। এবং প্রথম বলেই চার হাঁকান মনোজ। তবে পরের বলেই মনোজ (৭) আউট হয়ে ফেরেন। তার পরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফিরে যান স্টিভ স্মিথও (৫১ রান)। এরপর ৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। তবে মিচেল জনসনের অনবদ্য বোলিংয়ের সুবাদে ১ রানে ম্যাচ জেতে মুম্বাই। ২০ ওভারে পুনে থামে ৬ উইকেটে ১২৮ রানে। জিততে শেষ বলে পুনের প্রয়োজন ছিল চার রান। তবে ড্যান ক্রিশ্চিয়ান চার হাঁকাতে পারেননি। ডিপ মিড উইকেটে বল পাঠিয়ে তিন রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। এর ফলে মুম্বাই ১ রানে ম্যাচ জেতে।