যত দিন যাচ্ছে, তাপমাত্রার পারদ ততই উর্ধ্বগামী। ভ্যাপসা গরমে অতীষ্ট হয়ে উঠেছেন শহরবাসী। মোটা করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে, মুখ ঢেকে, মাথায় ছাতা দিয়ে ছাড়া দিনের বেলায় ঘরের বাইরে পা রাখার জো নেই। আপনি তো মনে করছেন দামি সানস্ক্রিনের প্রলেপ মুখে, হাতে লাগালে রোদের প্রকোপ থেকে অনেকটাই বাঁচা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু টেরও পাচ্ছেন না যে এতে আপনার ত্বকের কী মারাত্মক ক্ষতি হয়ে চলেছে!
ক্যালিফোর্নিয়ার ট্যুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নয়া গবেষণা জানাচ্ছে, সানস্ক্রিন মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে দুর্বলতা ও হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমেরিকান অস্টিওপ্যাথিক অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের ১ কোটি মানুষ সানস্ক্রিন ব্যবহারের জন্য ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছেন। ট্যুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর বলেন, খুব দরকার না থাকলে মানুষ রোদের মধ্যে বাইরে বেরোতে চান না। আর যখন বেরোতে হয়, তখন সানস্ক্রিন লাগিয়েই বেরোনোর চেষ্টা করেন। এর ফলে শরীরে ভিটামিন ডি উৎপাদনের ক্ষমতা কমে যায়। তবে এর উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি। বলছেন, স্কিন ক্যানসার প্রতিরোধে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়। এমন অনেক উপায় রয়েছে যা দেহে ভিটামিন ডি সরবরাহে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি-এর অভাবে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ, ক্রোনিক এবং সিলিয়্যাক রোগ মতো শারীরিক রোগগুলি দেখা দিতে পারে।
সূর্য রশ্মি ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস। তাই সানস্ক্রিন দিয়ে তা সর্বদা আটকানো ঠিক নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সুস্বাস্থ্যের একটি বড় অংশ ভিটামিন ডি-এর উপর নির্ভরশীল। কোষের বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। তাই সপ্তাহে অন্তত দু’দিন ৫ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা সূর্য রশ্মির নিচে থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পাবে শরীর। এর জন্য সানবাথের প্রয়োজন নেই। রোদের মধ্যে হাঁটলেই শরীরে ভিটামিড ডি-এর চাহিদা পূরণ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই এবার থেকে সানস্ক্রিন লাগানোর আগে সাবধান হোন!