১. ডালিম দিয়ে বানানো ফেস মাস্ক:
এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে ত্বক যেমন মসৃণ হয়ে ওঠে, তেমনি উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ডালিম ফেসমাস্ক ত্বকের উপর জমতে থাকা মৃত কোষের স্থরকে সরিয়ে দেয়, ফলে স্কিন সুন্দর এবং নরম হতে শুরু করে।
৩ চামচ ডালিমের দানার সঙ্গে ২ চামচ রান্না করা ওটস এবং ২ চামচ দুধ মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্ট মাস্কের মতো করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখটা ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।
২. ওটমিল এবং মধু দিয়ে বানানো মাস্ক:
এই দুটি উপকরণ পরিমাণ মতো মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ২৫-৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি আপনার ত্বককে পরিষ্কার করার পাশাপাশি কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। আর একথা তো সকলেই জানেন যে কোলাজেনের মাত্রা যত বাড়বে, তত ত্বকের বয়স কমতে থাকেব। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে কম করে ৫ বার এই মাস্ক লাগালে দারুন উপকার পাবেন।
৩. কলা দিয়ে বানানো অ্যান্টি-এজিং ফেস মাস্ক:
এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন। এই দুটি উপাদান ত্বককে তরতাজা রাখতে সাহায্য় করে। কীভাবে বানাবেন কলার ফেস মাস্ক? খুব সহজ! কাঁটা চামচের সাহায্য়ে একটা কলাকে পিষে নিন। তারপর তাতে পরিমাণ মতো মধু এবং ক্রিম মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। কলার পেস্টটা তৈরি হয়ে গেল ভাল করে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট মাস্কটা মুখে রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, কলাতে ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি-এজিং প্রপাটিজ থাকার কারণে এটি ত্বকের বয়স কমাকে দারুন কাজে দেয়।
৪. পেঁপে এবং দই:
ত্বকের বয়স কমাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। আর এটি পঁপে এবং দইয়ে প্রচুর মাত্রায় পাওয়া যায়। তাই এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে যদি মুখে লাগানো যায়, তাহলে অল্প দিনেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরতে শুরু করে। শুধু তাই নয় পেঁপে এবং দই দিয়ে বানানো এই ফেস মাস্কটি নিয়মিত মুখে লাগালে ব্রণ, কালো দাগ এবং বলি রেখাও কমে। প্রসঙ্গত, এই ফেস মাস্কটির আরও কিছু উপকারিতা আছে। যেমন সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে বাঁচাতে এটি সাহায্য করে।
এখন প্রশ্ন কীভাবে বানাতে হবে এই পেস্টটি? প্রথমে পরিমাণ মতো পেঁপে নিয়ে পিষে ফেলুন। তারপর পেঁপের সঙ্গে একে একে দই এবং এক চামচ হলুদ মিশিয়ে ভাল করে সবকটি উপকরণ মেশান। তারপর মিশ্রনটি সারা মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। যখন দেখবেন পেস্টটা শুকিয়ে গেছে, তখন জল দিয়ে সারা মুখটা ধুয়ে ফেলুন। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে কম করে তিনবার এই ফেস মাস্কটি মুখে লাগালে দারুন উপকার পাবেন।
৫. নারকেল দুধ:
ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ নারকেল দুধ নিয়মিত মুখে লাগালে ত্বক নরম হয় এবং ত্বকের আদ্রাতা বজায় থাকে। এই ফেস মাস্কটি বানানো খুব সহজ। পরিমাণ মতো নারকেল দুধের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস, এক চামচ মধু এবং এক চামচ গ্লিসারিণ মিশিয়ে মুখে লাগান। নিয়মিত এই ফেস মাস্কটি মুখে লাগালে অল্প দিনেই দেখবেন ত্বক প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে উঠেছে।
৬. ক্রেনবেরি ফেস মাস্ক:
ভিটামিন- সি সমৃদ্ধ হওয়ার করণে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এই ফেস মাস্কটি দারুন কাজে দেয়। শুধু তাই নয়, বলি রেখা এবং ডার্ক সারকেল কমাতেও কেনবেরি ফেস মাস্কের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
এক মুঠো কেনবেরির সঙ্গে ৫-৬ টা অঙুর, এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্টটি ৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৭. লিচু দিয়ে বানানো ফেস মাস্ক:
এক মুঠো লিচুর সঙ্গে পরিমাণ মতো দই আর এক চামচ লেবু মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে পেলুন। একদিন অন্তর অন্তর এই ফেস মাস্কটি মুখে লাগালে ব্রণর সমস্য়া কমে, সেই সঙ্গে ত্বক উজ্জ্বল এবং তুলতুলে হয়ে ওঠে। কমে ত্বকের বয়সও। প্রসঙ্গত, এই ফেস মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সারা মুখ।