তিনি মিস ইউনিভার্স। তাঁর সৌন্দর্যে যে পুরুষ মুগ্ধ হবে, এ আর নতুন কথা কী! সময় গড়িয়েছে, প্রজন্ম পেরিয়েছে, কিন্তু আজও সৌন্দর্যের অপরূপ কুহক রচনা করে চলেছেন তিনি। আর তাতেই পথ হারিয়েছিলেন এক পরিচালক। অন্তত তিনি নিজে তাই স্বীকার করছেন। সম্প্রতি পরিচালক বিক্রম ভাট জানালেন, সুস্মিতা সেনকে ভালবেসে, তাঁকে পেতে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে ঠকাতেও দ্বিধা করেননি।
এ স্বীকারোক্তি পরিচালক বিক্রম ভাটের। জানিয়েছেন, সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই ভেঙেছিল তাঁর বিয়ে। বলা ভাল, তিনিই প্রতারণা করেছিলেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে। এমনকী বাচ্চাকেও অবহেলা করেছিলেন। কিন্তু যে সম্পর্কের জন্য ব্যক্তিগত জীবনকে এভাবে তছনছ করেছিলেন, সে সম্পর্কও টেকেনি। সুস্মিতার বয়ফ্রেন্ড হয়ে থাকতেই থাকতেই একদিন প্রাক্তন তকমা পেয়ে গিয়েছিলেন। আর সে সময় আত্মহত্যার ইচ্ছেও জেগেছিল তাঁর মনে। তবে সুস্মিতার সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণে নয়। ইচ্ছে জেগেছিল নিজের জীবনের দিকে তাকিয়ে, আত্মদংশনে। কীভাবে তিনি তাঁর পরিবারকে ছোট করেছেন, বাচ্চাকে অবহেলা করেছেন-সে কথা মনে করেই আত্মহননের ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর। যদিও হতাশার সে পথ থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে আনতে পেরেছিলেন। এখন অবশ্য আর বিয়ে করতে চান না তিনি. বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটি থেকেই তাঁর বিশ্বাস টলে গিয়েছে. তবে সেদিনের যন্ত্র্রণাদীর্ণ দিনের কথা আজও ভুলতে পারেন না।
সম্প্রতি একটি উপন্যাস লিখেছেন বিক্রম। তিনি জানাচ্ছেন, তা কাল্পনিক নয়। জীবন থেকেই এ উপন্যাসের রসদ পেয়েছেন তিনি। তবে এ বইয়ে সুস্মিতার কথা নেই। আমিশা প্যাটেলের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সে কথাও নেই। আবার হয়তো বা আছেও। লেখক জানাচ্ছেন, ছায়া হয়েই থাকতেই পারে। এমনকী স্ত্রীর কথাও আছে কিনা তাও খোলসা করেননি বিক্রম। জীবনে এক রহস্যময়ীর সামনে এসে পথ ভুলেছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে, কিন্তু অল্পবয়সের সে প্রেমিকা আজও তাঁর গোপনীয়তায়, মর্যাদায় রহস্যময়ীই হয়ে থেকেছে পরিচালকের কাছে। আর তাই তাঁর উপন্যাসের নায়িকাকেও একরকম রহস্যময়ী করেই রেখেছেন বিক্রম।