‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ সিরিয়াল এখন বাংলার ঘরে ঘরে। তার সঙ্গেই ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছেন রাসমণির চরিত্রের অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। তো সেই বিখ্যাত দিতিপ্রিয়াকে ফোন করতেই পাওয়া গেল। আপাতত খুব ব্যস্ত তিনি। শুটিং তো আছেই সঙ্গে রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার চাপ। স্কুলে চলছে টেস্ট। পরীক্ষা শেষ হতেই শুটিং-এর গাড়িতে স্টুডিও-র পথে। তার মধ্যেই গল্প জুড়ে দিলেন রাকা রায়।
প্রশ্ন: কী করে ম্যানেজ করছ?
উত্তর: (হেসে) তুমি তো জানোই খুব ছোটো থেকেই অভিনয় করছি। পড়াশোনা আর শুটিং দুটো ম্যানেজ করা অভ্যাস হয়ে গেছে। সামনেই বোর্ড এক্সাম। তাই জোরকদমে কাজ ও পড়াশোনা দুটোই চলছে। আমার কাছে কাজটা যেমন দরকারি তেমনি পড়াশোনাটাও। ফিফটি ফিফটি রেশিও। কোনোটাকেই কম গুরুত্ব দিতে পারবো না। অভিনয় ও লেখাপড়াকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি ছোটোবেলা থেকে এটা ম্যানেজ করতে শিখে গেছি। এই তো পরীক্ষা শেষ করে শুটিং -র জন্য যাচ্ছি (হাসি)।
প্রশ্ন: রানি রাসমণির চরিত্র করছ। এখন নিজেকে চাইল্ড আর্টিস্টই ভাবছো?
উত্তর: হ্যাঁ। অবশ্যই। আমার এখনো ১৮ হয়নি। চাইল্ড আর্টিস্টই ভাবি। এখানে তো রানির ছোটোবেলাটাই করছি।
প্রশ্ন: চরিত্রের গাম্ভীর্য আনতে নিশ্চয়ই খুব খাটতে হচ্ছে ?
উত্তর: আসলে এতোদিন রাসমণির ছোটবেলাটাই দেখাচ্ছিল। যেখানে রাসমণিও খুবই ছটফটে আমার মতো। এই সবে সে একটু বুঝদার হয়েছে। তাই একটু খেয়াল রাখতে হচ্ছে। তাছাড়া পরিচালক আছেন, সবাই আমায় ধরিয়ে দিচ্ছে, কোন জায়গাটা আরো গম্ভীর হতে হবে।
প্রশ্ন: এই চরিত্রটা করতে নিশ্চয়ই পড়াশোনা করতে হয়েছে?
উত্তর: আমাদের শুটিং শুরুর আগেই আমাদের রিসার্চ টিমের শিবাশিসদা মানে শিবাশিস ব্যানার্জি আমাদের সকলকে একটা বই পড়তে বলেন। আর আমাকে রানি সম্পর্কে অনেক কথা জানান। এই রকম একটা ঐতিহাসিক চরিত্র করাটা সহজ করেছেন শিবাশিসদা।
প্রশ্ন: কিছুদিন আগে রাসমণির বাড়িতে গেছিলে?
উত্তর: ওঃ হ্যাঁ। আসলে ওদের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পূজোয় নিমন্ত্রণ ছিল। তাই রানির লুকেই গেছিলাম। নাহলে আমায় কেউ চিনতে পারবেনা। (হাসি)
প্রশ্ন: রানি রাসমণি লুকে নিজেকে কেমন লাগে?
উত্তর: প্রথম দিন খুব ভালো লেগেছে। দুতিন দিন মজাও করেছি। এতো বড়ো চুল। এতো গয়না। তবে কদিন পরই বুঝি সারাদিন এইসব পড়ে থাকা বেশ কষ্টকর।
প্রশ্ন: কেন রাজি হলে এই চরিত্রটি করতে?
উত্তর: আসলে আমি প্রথমে রাজি হইনি। কারণ আমার অন্য চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তি ছিল। কিন্তু সেই চুক্তি শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পরেই আমায় ডেকেছিল। জি-র সোহিনীদি বলল তুই করিস না করিস চলে আয় অফিসে। আমি যেতেই বলল, এই তো রাসমণি চলে এসেছে। বললাম, আমি ডেলি সোপ করবো না। তখন বলল মাত্র ৩ মাসের জন্য করে ফেল। অপরাজিতর পর আবার সিরিয়াল করলাম।
প্রশ্ন: বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে?
উত্তর: না তেমন কিছু নয়। তবে খেয়ালি আন্টির কাছে একবারই গেছিলাম। তিনি বললেন সব ঠিকই আছে। তবে একটু আস্তে কথা বলতে বলল। কারণ আমার কথায় একটু টান আছে। আমি খুব তাড়াতাড়ি কথা বলিতো। এখন অনেকটা শিখেছি।
প্রশ্ন: এটার পর কী প্ল্যান?
উত্তর: ইচ্ছে আছে বাংলা ছবিতে অভিনয়ের। সিরিয়াল আর করবো না। তবে এরকম চরিত্র হলে হয়তো আবার করতেও পারি। তবে আপাতত এই রাসমণিটাই এনজিও করছি। দর্শকদেরও পছন্দ হচ্ছে। (হাসি) দেখ গল্প করতে করতে স্টুডিও চলে এলাম(হাসি)।
খবর - খবর অনলাইন ডট কম