ঢাকা: ব্রণ, র্যাশ, রোদে পোড়া, ব্লাক হেডস বা চর্মরোগের কারণে ত্বকে অনেক সময় দাগের সৃষ্টি হয়। দাগ সহজে পড়লেও দূর হতে সময় লাগে অনেক। এভাবে দিনের পর ত্বকের দাগের পরিমান বাড়তে থাকে। সৌন্দর্য প্রকাশের অন্যতম স্থান মুখের ত্বক। সেখানে এমন দাগের বিস্তৃতি অপরের কাছে তো প্রশ্নের সম্মুখিন করবেই সঙ্গে নিজেরও খারাপ লাগা কাজ করবে। তাছাড়া কদিন পরেই আসছে ঈদ। নতুন সাজ পোশাকের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে চাই মসৃণ ত্বক। কারণ অনেক সময় মেকআপেও এসব দাগ ঢাকা পড়ে না। ত্বকের এমন নাছোড়বান্দা দাগের জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা বিউটি পার্লারে ছুটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, সমাধান আপনার হাতেই। তাই ত্বকের দাগ সারাতে এখন থেকেই অবলম্বন করতে পারেন কিছু উপায়-
লেবুর রস
লেবুর রসে আছে আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড। ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং নতুন কোষ গঠন করতে এই অ্যাসিড সহায়তা করে। ফলে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে যায়। ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। তুলায় ১ চা চামচ লেবুর রস নিন। ত্বকের যে স্থানে দাগ আছে সেখানে তুলা দিয়ে চেপে লেবুর রস লাগিয়ে নিন। অতপর ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিনেই ত্বকের দাগ হালকা হয়ে যাবে। তাই লেবুকে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে।
মধু
দাগ দূর করতে মধু অতুলনীয়। এছাড়াও মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। তাই কাঁটা ছেড়াতেও মধু লাগালে ভালো হয়ে যায়। ত্বকের দাগ দূর করতে ২ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। হালকাভাবে ৩ মিনিট ম্যাসাজ করে মৃদু গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। সপ্তাহে তিন দিন করলেই ত্বকের দাগ দূর হবে সহজেই।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও কে আছে। এছাড়াও অলিভ ওয়েলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দাগকে হালকা করে দেয়। তুলায় অলিভ অয়েল লাগিয়ে ৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। এবার ৫ মিনিট বিরতি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
শসা
রূপচর্চায় শসা ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী। শসা ব্যাবহারে ত্বকে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। শসা ছিলে এর বীজ ফেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। শসার মিশ্রনটি দাগে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন ব্যবহার করুন।